দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর সরকারকে দায়ী করে বিক্ষোভ চলছে লেবননের রাজধানী বৈরুতে। বিস্ফোরণের জন্য সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বৈরুতের কেন্দ্রে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন হাজার হাজার মানুষ। এসময় বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এসময় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দখল নেয় বিক্ষোভকারীরা।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভ থেকে তদন্তের জন্য ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খবর আল জাজিজার।

সহিসংহ বিক্ষোভে সাত শতাধিক বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণের জন্য সরকারকে দায়ী করছেন বিক্ষোভকারীরা। তারা এর বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন।

এদিন বিক্ষোভের মধ্যে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে একটি দল লেবানিজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করে। এসময় তারা দেশটির প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের ছবিতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং মন্ত্রণালয় দখলের ঘোষণা দেয়।

গত মঙ্গলবার বৈরুত বন্দরের কাছে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নামের রাসায়নিকের ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। এতে বিশাল এলাকাজুড়ে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। মারা যান অন্তত ১৫৮ জন এবং আহত হয়েছেন পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ।

ব্যাপক দুর্নীতি বন্ধ এবং রাজনীতিতে সংস্কার চেয়ে কিছুদিন ধরেই লেবাননে বিক্ষোভ চলছিল। বৈরুতের ভয়াবহ বিস্ফোরণ সেই ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন লেবানিজ প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব। টেলিভিশনের এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘আগাম সংসদীয় নির্বাচন ছাড়া আমরা দেশের কাঠামোগত সংকট থেকে বের হতে পারব না। বিষয়টি নিয়ে আগামী সোমবার মন্ত্রিসভায় আলোচনা হবে।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৯আগস্ট, ২০২০)