তথ্যমন্ত্রীর পর লেবাননের পরিবেশমন্ত্রীরও পদত্যাগ
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে সরকারের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে দেশটির তথ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগ করেছেন পরিবেশমন্ত্রীও। খবর আল জাজিরা, বিজনেস ওয়ার্ল্ড
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, লেবানিজ প্রধানমন্ত্রী তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী দামিয়ানোস কাত্তারকে পরিবেশমন্ত্রী পদে ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বদলাননি কাত্তার।
এর আগে, রোববার সরকারের ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন লেবাননের তথ্যমন্ত্রী মানাল আবদেল সামাদ। টেলিভিশনে দেয়া এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি বলেন, বৈরুতে বিশাল বিপর্যয়ের পর আমি সরকার থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি লেবাননিজদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমরা তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি।
গত মঙ্গলবার বৈরুতের পূর্বাঞ্চলীয় বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৫৮ জন, আহত ছয় হাজারেরও বেশি মানুষ। বিস্ফোরণে শহরটির অর্ধেকই ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। এতে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন তিন লাখের বেশি বাসিন্দা।
লেবাননের সরকারি কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, বৈরুত বন্দরের একটি গুদামে প্রায় সাত বছর ধরে মজুত করে রাখা ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
বিস্ফোরণের জন্য সরকারের অবহেলা এবং দুর্নীতিকে দায়ী করে গত কয়েকদিন ধরে লেবাননের রাস্তায় বিক্ষোভ করছেন হাজার হাজার মানুষ। শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বেশ কয়েকটি সরকারি অফিসে হামলা চালায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। এদিন বৈরুতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এসময় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ।
রেড ক্রস বলছে, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত অন্তত ৬৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থলে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে আরও ১৮৫ জনকে। ফরাসী বার্তাসংস্থা এএফপি বলছে, শনিবারের ওই সংঘর্ষে পুলিশের অন্তত এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছেন। সংকট সমাধানে দেশটির সব রাজনৈতিক দলকে ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১০আগস্ট, ২০২০)