সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরো ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত
যশোর প্রতিনিধি: যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দী হত্যার ঘটনায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের আটক আরো তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহ, ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর একেএম শাহানুর আলম এবং প্রশিক্ষক (ওয়েল্ডিং) ওমর ফারুক।
সোমবার (১৭ আগস্ট) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন যশোর সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অসিত কুমার সাহা। এর আগে, গত ১৪ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মাসুদকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
এদিকে, যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দী হত্যা মামলায় আটক ৫ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সমাজসেবা অধিদপ্তর ও যশোর জেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত দুইটি তদন্ত কমিটি। এ লক্ষ্যে উভয় কমিটির পক্ষ থেকে সোমবার আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
অপরদিকে, উভয় কমিটি ঘটনাটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করছে। হাসপাতালে ভর্তি আহত বন্দীদের সাথে তদন্ত কমিটিদ্বয় কথা বলেছে। এরপর পুলেরহাটস্থ উন্নয়ন কেন্দ্রে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অন্য বন্দীদের সাথেও কথা হয়েছে তদন্তে থাকা কর্মকর্তাদের।
এদিকে, রিমান্ডে থাকা ৫ আসামির মধ্যে কারিগরি প্রশিক্ষক (ওয়েল্ডিং) ওমর ফারুক ও সাইকো সোস্যাল কাউন্সিলর মুশফিকুর রহমানের তিন দিনের রিমান্ড সোমবার শেষ হয়েছে। তারা রিমান্ডে পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বাকি তিন তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহ ও ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর একেএম শাহানুর আলমের রিমান্ড শেষ হবে আগামী বুধবার।
যশোর আদালত সূত্রে জানা গেছে, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ঢাকাস্থ সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক গঠিত উচ্চ পর্যায়ের টিম এবং যশোর জেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত আরো একটি টিম আসামিদের সাথে কথা বলতে চায়। বিশেষ করে যারা এই হত্যা মামলায় আটক হয়ে পুলিশের রিমান্ডে আছেন।
এ লক্ষ্যে একটি আবেদন আদালতে করা হয়েছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দিন হোসাইন সোমবার কোনো আদেশ দেননি। তবে আসামিদের রিমান্ড শেষ হওয়ার পর আদালতে পাঠালে তার পর আবেদনের শুনানি হবে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইনস্পেক্টর রোকিবুজ্জামান জানিয়েছেন, রিমান্ডে থাকা আসামিদের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা যাবে না।
উল্লেখ্য, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৩ আগস্ট দুপুর থেকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ১৮ বন্দীর ওপর নির্যাতন চালানো হয়। এতে তিন বন্দী কিশোর নিহত হয়। এছাড়া, আহত ১৫ জনকে যশোর জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৮আগস্ট, ২০২০)