দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ২০১১ সালে কাতারি মালিকানায় যাওয়ার পর টাকার বস্তা নিয়ে নেমেছিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। ২২২ মিলিয়নে রেকর্ড গড়ে নেইমারকে দলে ভেড়ানোর সঙ্গে মোনাকো থেকে কিলিয়ান এমবাপ্পেকেও দলে আনে ক্লাবটি। লক্ষ্য ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়। তবে প্রতিবারই আশা ভঙ্গ হচ্ছিল ফ্রান্সের এই ক্লাবটির। এবার অবশ্য তা হয়নি। গতরাতে আরবি লাইপজিগকে উড়িয়ে নিজেদের ৫০ বছরের ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে পিএসজি, ২০০৪ সালের পর এই প্রথম কোন ফরাসি ক্লাব নাম লিখিয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে।

সেমিফাইনালের ম্যাচ হলেও লড়াইটা ছিল একচেটিয়া। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে প্রথম আক্রমণে যায় পিএসজি। তবে ভাগ্য সহায় না হওয়ায় বল ঠিকঠাক মতো জালে পাঠানো হয়নি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পিএসজি এগিয়ে যাওয়া গোলটি পেয়েছে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল সমন্বয়ে। বক্সের বাইরে দলকে ফ্রি-কিক এনে দেন নেইমার। ১৩ মিনিটে ডি মারিয়ার নেওয়া ফ্রি-কিকে দুর্দান্ত এক হেডে ১-০ করেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্কিনিয়োস। নেইমারের পাস থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে আতালান্তার বিপক্ষে পিএসজিকে সমতাসূচক গোলটি এনে দিয়েছিলেন তিনিই।

১৩ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করে পিএসজি। এবারের গোলটিও ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সমন্বয়ে। বক্সের মধ্যে বল পেয়ে ডি মারিয়ার উদ্দেশে দুর্দান্ত এক ব্যাক-হিল ফ্লিক করেন নেইমার। ডি মারিয়াও ঠাণ্ডা মাথার নিখুঁত ফিনিশিংয়ে বল পাঠান জালে। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পিএসজি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বেশ কয়েকবারই লাইপজিগ ভীতি ছড়াতে পেরেছে পিএসজির রক্ষণে। তবে ৫৫ মিনিটে আবার গোল হজম করে লাইপজিগ। ডি মারিয়ার ক্রসে হেড থেকে গোলটি করেছেন হুয়ান বেরনাত। ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়লেও থমকে যায়নি লাইপজিগ। থেকে থেকে তারা ভীতি ছড়িয়েছে পিএসজির রক্ষণে। কিন্তু পিএসজির আক্রমণ ফেরানো বাদে গোল কমানো হয়নি জার্মান এক ক্লাবটির।

পুরো ম্যাচ পিএসজির নিয়ন্ত্রণেই ছিল। ৫৭.৬ শতাংশ বল দখলে রেখেছিল প্যারিসের দলটি। বিপরীতে লাইপজিগ ৪২.৪ শতাংশ। দুই দলই গোলমুখে সমান ১৪টি করে শট নিয়েছে। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে এগিয়ে ছিল নেইমাররা। আর ৩-০ গোলের একচেটিয়া জয়ে নিজেদের ক্লাব ইতিহাসের প্রথম ফাইনাল খেলতে নামনে ফরাসি এই ক্লাবটি। সেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ অলিম্পিক লিও বা পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৯আগস্ট, ২০২০)