কক্সবাজার প্রতিনিধি: ফেসবুকে বিকৃত ছবি পোস্ট করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে মঙ্গলবার মধ্যরাতে কক্সবাজার সদর থানায় গিয়েছিলেন পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর অব. সিনহার সহকর্মী শিপ্রা দেবনাথ। তবে নিজেদের আওতায় না হওয়ায় মামলাটি নেয়নি কক্সবাজার সদর থানা। সংশ্লিষ্ট থানায় অথবা ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন সদর থানার ওসি।

মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান ও পিবিআইএর এসপি মিজানুর রহমান শেলিসহ অজ্ঞাতনামা দেড়শজনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই মামলা করতে গিয়েছিলেন শিপ্রা দেবনাথ। আইনজীবী মাহাবুবুল আলম টিপু ও বন্ধু সাহেদুল আলম সিফাতকে নিয়ে শিপ্রা কক্সবাজার সদর থানায় গিয়েছিলেন।

থানা থেকে বের হয়ে শিপ্রা দেবনাথের আইনজীবী মাহাবুবুল আলম টিপু জানান, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান ও পিবিআইএর এসপি মিজানুর রহমান শেলিসহ অজ্ঞাতনামা দেড়শজনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শিপ্রা মামলা করতে গিয়েছিলেন। ঘটনাস্থল কক্সবাজার সদর থানার আওতায় না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট রামু থানা মামলা করার পরামর্শ দেন কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. খাইরুজ্জামান।

নিহত মেজর অব. সিনহার সহকর্মী শিপ্রা দেবনাথের ব্যক্তিগত ছবি-ভিডিও সম্প্রতি ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার এক ভিডিও বার্তায় এঘটনায় জড়িতদের বিচার চেয়ে শিপ্রা দেবনাথ জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করারও ঘোষণা দিয়েছিলেন।

গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ সড়কে পুলিশের গুলিতে মারা যান সিনহা রাশেদ। তিনি একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি করতে সেখানে গিয়েছিলেন। সহকর্মী শিপ্রা তখন হোটেলে ছিলেন। এই ঘটনার পর শিপ্রাকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৯আগস্ট, ২০২০)