কক্সবাজার প্রতিনিধি: টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনায় তার বোনের দায়ের করা মামলায় চার পুলিশ সদস্য ও পুলিশের দায়ের করা মামলার ৩ সাক্ষীকে সাত দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে সোপর্দ করেছে তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব। 

আজ বৃহস্পতিবার বেলা বেলা ১২টার দিকে তাদের কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে সোপর্দ করা হয়।

চার পুলিশ সদস্য হলেন, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল-মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া। এছাড়া পুলিশের দায়ের মামলার স্বাক্ষীরা হলেন, টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াজ।

গত ১২ আগস্ট আদালত ৪ পুলিশ সদস্যসহ এ ৭ জন আসামির প্রত্যকের ৭ দিন করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।

এদিকে, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা, তার সহকর্মী শিপ্রা দেবনাথ ও সিফাতের ব্যবহৃত ল্যাপটপ, হার্ডডিস্ক, পেনড্রাইভসহ ২৯টি উপকরণ আজ র‌্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তার হেফাজতে নেওয়ার কথা রয়েছে বলে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশাবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ।

এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত।

ওই ঘটনায় ওসি প্রদীপসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা এবং পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী প্রথমে কক্সবাজার জেলা কারাগার ও পরে আদালতের ৭ দিনের রিমান্ড আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব হেফাজতে রয়েছে।

সর্বশেষ বাংলাদেশ আর্মড পুলিশের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে আটকের পর আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তদন্ত সংস্থা র‌্যাব। কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ প্রত্যেক আসামির ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২০আগস্ট, ২০২০)