কক্সবাজার প্রতিনিধি: মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি গভীরভাবে অ্যানালাইসিস করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার। তিনি বলেন, ‘মেজর সিনহাকে গুলি বর্ষণের পুরো ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে এক থেকে দুই মিনিটের মধ্যেই। এই দুই মিনিটের প্রতিটি সেকেন্ডের ঘটনাপ্রবাহ আমরা বিচার-বিশ্লেষণ করছি। প্রতিটি সেকেন্ডই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই ঘটনার অনেক তথ্য-উপাত্ত আমরা সংগ্রহ করেছি।'

শুক্রবার (২১ আগস্ট) দুপুর ১টার মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডস্থল ঘুরে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

কী তথ্য পেয়েছেন জানতে চাইলে মোস্তফা সরোয়ার বলেন, ‘এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ মামলা। তদন্তকারী কর্মকর্তা তার তদন্তকাজের অংশ হিসেবে আসামিদের নিয়ে ঘটনাস্থলে আসছেন। এটি তদন্ত কাজেরই অংশ। এই মুহূর্তে এটা বলা সমীচীন হবে না। এতে তদন্তকাজ ব্যাহত হতে পারে। তদন্তকাজটি এমনভাবে সম্পন্ন করা হবে, যাতে এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোনও দোষী ব্যক্তি রক্ষা না পায় এবং নিরীহ লোক কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হন। ঘটনাটি যে দুই মিনিটের মধ্যে ঘটেছে, এর প্রত্যেকটি সেকেন্ড আমরা গভীরভাবে অ্যানালাইসিস করছি।’

এ সময় র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ, র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম ও র‌্যাব-১৫’র অধিনায়ক আজিম আহমেদ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাবের সিনিয়র এএসপি খায়রুল ইসলামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাত ১০টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন (অব.) সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় নিহতের বোন শাহরিয়ার শারমিন ফেরদৌস বাদী হয়ে গত ৫ আগস্ট টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরির্দশক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয়েছে র‌্যাবকে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২১আগস্ট, ২০২০)