দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কক্সবাজারে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় বরখাস্ত হওয়া টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত ও নন্দদুলালকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেছে র‌্যাব।

শুক্রবার দুপুরে মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলার প্রধান এই তিন আসামিকে নিয়ে ঘটনাস্থল কক্সবাজার মেরিনড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে উপস্থিত হয় র‌্যাব সদস্যরা। এই চেকপোস্টেই গত ৩১ জুলাই রাতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা। অল্প সময়ের মধ্যে কীভাবে সিনহা হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে এর বর্ণনা শোনার জন্য আসামিদের ঘটনাস্থলে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে সিনহা হত্যা ঘটনায় টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে না পারায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিতে আরও সাত দিন সময় চেয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সিনহা হত্যা মামলার সাত আসামিকে রিমান্ড শেষ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। সাতদিনের রিমান্ড শেষ গতকাল দুপুরে সাত আসামিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে র‌্যাব। এ সময়, ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তদন্তের দায়িত্বে থাকা পক্ষ থেকে আর কোনো রিমান্ড আবেদন না করায় তাদের আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ দিয়ে হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খান। তখন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দিতে উল্টো মামলা করেছিলো পুলিশ।

পরে ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত ও নন্দদুলাল রক্ষিতসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২১আগস্ট, ২০২০)