দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে (১৫) আত্মহত্যা প্ররোচণার মামলায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রোববার (২৩ আগস্ট) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এ আদেশ দেন। এই দুই শিক্ষিকা হলেন- ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিন্নাত আক্তার।

এদিন আদালতে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। মামলার দুই নম্বর সাক্ষী অরিত্রীর মা বিউটি অধিকারী আদালতে সাক্ষ্য দেন। কিন্তু মামলার আসামি দুই শিক্ষিকা আদালতে উপস্থিত হননি এবং তাদের পক্ষে কোনো পদক্ষেপও নেওয়া হয়নি। তাই আদালত তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এছাড়া মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়। ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মাদ সালাহউদ্দিন হাওলাদার এসব তথ্য জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ৩ ডিসেম্বর রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় শিক্ষার্থী অরিত্রী। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ভিকারুননিসার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। ঘটনার পরদিন রাজধানীর পল্টন থানায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচণার অভিযোগে অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী মামলা দায়ের করেন।

গত বছর ২০ মার্চ এ দুই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার। আসামিদের নির্দয় ব্যবহার ও অশিক্ষকসুলভ আচরণে অরিত্রী অধিকারী আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয় বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। গত বছর ১০ জুলাই এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এরপর গত ২৫ নভেম্বর অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারীর সাক্ষ্যের মাধ্যমে মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৩আগস্ট, ২০২০)