দাম বাড়ল আ.লীগের মনোনয়নপত্রের
বাহরাম খান, দিরিপোর্ট২৪ : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্রের দাম বেড়েছে ১৫ হাজার টাকা। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির মনোনয়নপত্রের দাম ছিল ১০ হাজার টাকা। এবার এর দাম রাখা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা।
এ প্রসঙ্গে নীলফামারি-১ আসনে মনোনয়ন পেতে আগ্রহী মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকে যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তাই দিতে হবে। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে আমার কোনো মন্তব্য নেই।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী একাধিক প্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আওয়ামী লীগের মতো জনবান্ধব দলের মনোনয়নপত্রের দাম একলাফে ১৫ হাজার টাকা বাড়ানো ঠিক হয়নি।
অন্যদিকে, মনোনয়নপত্রের দাম বাড়ানো যৌক্তিক মনে করেন সুনামগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী সৈয়দ আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন থেকে জামানতের পরিমাণ দ্বিগুন করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো মনোনয়নপত্র বিক্রির মাধ্যমে দলীয় খরচ পরিচালনা করে। তাই এটি খুব বেশি দাম ধরা হয়েছে বলা যায় না।’
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের থেকে এবারের আসন্ন দশম সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে মনোনয়নপত্র বিক্রি কমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম দিরিপোর্ট২৪কে বলেন, ‘একটি বৃহৎ দলের নির্বাচন পরিচালনায় বিভিন্ন ধরনের খরচ থাকে। তাই পঁচিশ হাজার টাকা খুব বেশি বলা যাবে না।’
এ প্রসঙ্গে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন দিরিপোর্ট২৪কে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের মনোনয়নপত্রের দাম কত হবে সেটা তাদের দলীয় বিষয়। তবে যারা মাঠের রাজনীতি করেন, তাদের জন্য এই দামটা একটু বেশিই মনে হচ্ছে। তবে বড় দলের ক্ষেত্রে অনেক অনাকাঙ্খিত প্রার্থীদের বিড়ম্বনা ঠেকানোর জন্য অনেক সময় মনোনয়নপত্রের দাম বেশি নির্ধারণ করা হয়।’
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার এই বিষয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতি এখন গরীবের হাতে নেই, চলে গেছে ব্যবসায়ী ও ধনিক শ্রেণীর হাতে। এদিক থেকে পঁচিশ হাজার টাকা খুব বেশি টাকা নয়। আর গরীবদের রাজনীতি এবং নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য আগেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেখানে নির্বাচনী ব্যয় ২৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয় সেখানে গরীরেবর রাজনীতির সুযোগ থাকে কোথায়?’
(দিরিপোর্ট২৪/বিকে/এইচএস/এমডি/নভেম্বর ১০, ২০১৩)