দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে রোববার নেইমারকে দেখা যায়নি সেরা ছন্দে। একের পর এক গোল মিস করেছেন পিএসজির এ ফরোয়ার্ড। খেসারতটাও হাতে হাতে দিতে হয়েছে ইউরোপ সেরাটা স্বপ্নের ট্রফি বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হারিয়ে। যে কারণে ম্যাচ শেষে লিসবনের মাঠে কষ্টটা চেপে রাখতে পারেননি তিনি। কেঁদে ভাসালেন।

রোববার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল শেষে হঠাৎ করেই কিলিয়ান এমবাপে যেন পাথরে গড়া মূর্তি হয়ে গেলেন। নেইমার মাথা ঝুলিয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। বার বার চোখটা ঝাপসা হয়ে যাচ্ছিল তার। কিছুতেই যেন চোখের জল ধরে রাখতে পারছিলেন না তিনি। ব্রাজিল ফরোয়ার্ডের এ অবস্থা দেখে শিরোপা উল্লাস বাদ দিয়ে বায়ার্ন ডিফেন্ডার ডেভিড আলাবা গেলেন নেইমারকে সান্ত্বনা দিতে। টানা কয়েক মিনিট ধরে নেইমারকে শান্ত করার চেষ্টা করেও কাজ হলো না। এমনকি বায়ার্ন কোচ প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগে কোচিং করাতে এসে শিরোপা জেতার মতো কীর্তি গড়ার আনন্দের মাঝেও চলে এলেন নেইমারের কাছে। মাঠের মাঝে দাঁড়িয়ে এমন এক তারকা কান্নাকাটি করলে ওটাই যে স্বাভাবিক।

২০১৭ সালে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে যোগ দেন নেইমার। চেয়েছিলেন মেসির ছায়া থেকে বেরিয়ে ফরাসি ক্লাবটির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের। এছাড়া ব্যালন ডি’ অরের স্বপ্নতো ছিলোই। চ্যালেঞ্জ জয় করতে মোটা অর্থ খরচায় নেইমারের জুটি হিসেবে এমবাপেকে এনে দেয় পিএসজি। কিন্তু প্রথম দুই মৌসুমে নেইমারের ইনজুরির কারণে হতাশ হয় পিএসজি। তবে এবার দারুণ ছন্দে ছিলেন এ তারকা। শেষ ষোলোয় দলকে দুর্দান্ত খেলে জেতান তিনি। কোয়ার্টার ফাইনালে গোল না পেলেও গোলে সহায়তা দেন। সেমিফাইনালেও তাই। তবে ফাইনালসহ এক লেগের শেষ তিন ম্যাচেই নেইমার গোল করার সহজ সুযোগ মিস করেছেন। ফাইনালে নেইমারকে ওই ভুল থেকে বেরিয়ে আসতে হতো। কিন্তু পারেননি। যে কারণে ম্যাচ শেষে হতাশ হন তিনি, ভেঙে পড়েন কান্নায়।

পিএসজির জার্সিতে এবারও স্বপ্ন পূরণ হলো না নেইমারের। তাই তো মেডেল পরে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চ থেকে নেমে যাওয়ার সময় যেন একবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফিটা ছুঁয়ে গেলেন তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৪আগস্ট, ২০২০)