এডিবি বাংলাদেশকে ১১ বিলিয়ন ডলার দিতে চায়
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশকে আগামী তিন বছরে ৫৯০ কোটি ডলার ঋণ-সহায়তা দিতে চায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। পাশাপাশি বাড়তি চাহিদার প্রয়োজন মেটাতে ৫১৭ কোটি ডলার ‘স্ট্যান্ডবাই’ রাখার একটি পরিকল্পনা সাজিয়েছে আন্তর্জাতিক এ ঋণদাতা সংস্থা। ২০২১-২৩ সালের কান্ট্রি অপারেটিং বিজনেস প্ল্যানে (সিওবিপি) এই পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার খসড়ার মূলনীতি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে এডিবির ২০৩০ কৌশলপত্রের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই তহবিল বরাদ্দের এই পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।
বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন পারকাশের বরাত দিয়ে বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারির বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরো জোরদার করছি। সে অনুযায়ী প্রকল্প অগ্রাধিকারের বিষয়টি নতুন করে সাজাচ্ছি, যাতে স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে উদ্বুদ্ধ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি বাড়ানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সহায়তা হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা, সামাজিক সুরক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি, পল্লী উন্নয়ন, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন এবং আর্থিক খাতসহ অন্যান্য খাতে এডিবির সহায়তা অব্যাহত থাকবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা, নারী-পুরুষ সমতা এবং সুষম আঞ্চলিক উন্নয়নের বিষয়গুলো সহায়তার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে।
মনমোহন পারকাশ বলেন, বাংলাদেশে বেসরকারি খাত, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের প্রকল্প এবং বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে এডিবির সহায়তা আরো বাড়বে।
এডিবির কান্ট্রি অপারেটিং বিজনেস প্ল্যানে বলা হয়েছে, ২০২১-২৩ সময়ে বাংলাদেশ ঋণ-সহায়তা হিসেবে নিশ্চিতভাবে ৫৯৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার পাবে। এর বাইরে আরো ৫১৭ কোটি ডলার স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হবে, যাতে সরকারের চাহিদার ভিত্তিতে তা ছাড় করা যায়। এছাড়া, ৩ কোটি ৫৬ লাখ ডলার বাংলাদেশকে দেয়া হবে কারিগরি সহায়তা হিসেবে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৮আগস্ট, ২০২০)