দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক চারলেনসহ ৬ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৬২৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক সহায়তা থেকে আসবে ৪ হাজার ৫৯৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আর সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে ২ হাজার ৭১ কোটি ১০ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, সচিবরা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এনইসি সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত থেকে একনেক সভায় অংশ নেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের দুটি যথাক্রমে ‘মতলব-মেঘনা-ধনাগোদা-বেড়িবাঁধ (জেড-১০৬৯) সড়ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্প ও ‘সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক পৃথক এসএমভিটি লেনসহ চার লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্প, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘সারাদেশে পুকুর, খাল উন্নয়ন (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্প, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ‘আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণ নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধন)’ প্রকল্প, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) এলাকার নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন (দ্বিতীয় পর্যায়) (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্যচাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ (দ্বিতীয় পর্যায়) (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প।

বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে সব আন্তঃজেলা সড়ক মহাসড়ক এবং সব মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করা হবে। এর অংশ হিসেবেই সিলেট-তামাবিল সড়ক চারলেন করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘খাদ্য সংরক্ষণাগার তৈরির জন্য উপকূলীয় অঞ্চলে প্লাস্টিকের মটকা কিনে দেয়া হবে। ফলে প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় খাদ্যশস্য নষ্ট হবে না। এছাড়া বড় বড় সাইলো তৈরি করা হবে।

মন্ত্রী জানান, দেশীয় মাছ সংস্কারের ওপর গুরুত্বরোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে- মতলব-মেঘনা-ধনাগোদা-বেড়ীবাঁধ সড়ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প। যেখানে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক পৃথক এসএমভিটি লেনসহ ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। এছাড়া সারাদেশে পুকুর খাল উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় হবে ১ হাজার ৬৪৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা এলাকার নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৪১ কোটি ৭১ লাখ টাকা। আর ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্যচাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পে ১০৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

একনেক সভায় আরও অংশ নেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও সচিবরা।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১ সেপ্টেম্বর, ২০২০)