দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার দায় স্বীকার করেছে আটক আসাদুল ইসলাম।

ঈদের পর রংয়ের কাজ করতে আসাদুল ও নবিরুল ওই বাসায় যায়। তখন থেকেই ওই বাসায় ডাকাতির প্লান করে আসাদুলরা বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউওনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলার ঘটনায় সর্বশেষ আটক হয়েছে রং মিস্ত্রী নবিরুল ইসলাম। শুক্রবার বেলা ২ টার দিকে উপজেলা সংলগ্ন চক বামনদিয়া বিশ্বনাথপুর গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।

এর আগে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শুক্রবার ভোরে ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন (৪২) ও কর্মী আসাদুল ইসলামকে (৩৫) আটক করা হয়।

এছাড়া গতকাল বৃহস্পতিবার আহত ইউএনও ও তার বাবাকে উদ্ধারের পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নৈশপ্রহরী নাহিদ হোসেন পলাশকে নিয়ে যায়।

গত বুধবার দিনগত রাত ৩টার দিকে উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে অবস্থিত ইউএনওর বাসভবনের টয়লেটের ভেল্টিলেটর ভেঙে দুর্বৃত্তরা প্রবেশ করে।

ইউএনও টের পেলে দুর্বৃত্তরা তাকে সরাসরি ধারাল অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এ সময় তার বাবা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা তাকেও আঘাত করে পালিয়ে যায়।

রাতেই রক্তাক্ত ইউএনওকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াহিদা খানমের আড়াই ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচারের পর আজ জ্ঞান ফিরেছে। বর্তমানে হাসপাতালের আইসিইউতে তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। তার অবস্থা স্থিতিশীল।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০)