দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: লম্বা সময় পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়ে নিরবে দেশে ফেরেন সাকিব আল হাসান। এরপর গণমাধ্যম আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে লোকচক্ষুর আড়ালে রয়েছেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার। ইতিমধ্যে করোনা পরীক্ষাও উতরে গেছেন তিনি। এবার অপেক্ষা ব্যাট-বল নিয়ে অনুশীলনে ফেরার। একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, পূর্ব নিধারিত সূচি অনুযায়ী আজ (শনিবার) সাভারের জিরানিতে অবস্থিত বিকেএসপিতে যাবেন সাকিব। আগামী ৪ থেকে ৫ সপ্তাহ বিকেএসপিতেই অবস্থান করবেন তিনি। শারীরিক, মানসিক প্রস্তুতির পাশাপাশি ব্যাট ও বলের অনুশীলনটাও সেখানেই শুরু করবেন।

আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগে বিসিবির কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা ব্যবহর করতে পারবেন না সাকিব। দেশের সবসময়ের সেরা ক্রিকেটার বলে বিবেচিত এই অলরাউন্ডার তাই বেছে নিয়েছেন তার বেড়ে ওঠার প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিকে। এখানেই নিবিড়ভাবে অনুশীলন চালিয়ে যাবেন তিনি। কৃতি প্রাক্তন ছাত্রকে সম্ভব সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দেবে বিকেএসপি। সাকিবের প্রস্তুতি পর্ব শুরু হবে ফিটনেস ট্রেনিং দিয়ে। বিকেএসপির কোচরা এখানে তাকে সহায়তা করবেন। এখানকার অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক, সুইমিং পুল, সবই ব্যবহার করতে পারবেন সাকিব।

স্কিল ট্রেনিংয়ে ৩৩ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারকে সহায়তা করবেন তার ঘনিষ্ঠ দুই কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। দীর্ঘদিন বিসিবিতে কাজ করার পর নাজমুল আবেদীন এখন বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা। সাকিবের বরাবরের ‘মেন্টর’ ও দেশের সেরা কোচদের একজন সালাউদ্দিন থাকেন বিকেএসপি ক্যাম্পাসেই। ঘরোয়া ক্রিকেট নেই বলে আপাতত ব্যস্ততাও নেই তার। এই দুজনের তত্ত্বাবধানে চলবে সাকিবের স্কিল ঝালাই পর্ব।

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে সব ধরনের ক্রিকেট কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন সাকিব। ততদিনে শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান কিছুদিন আগে জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কায় দ্বিতীয় টেস্ট থেকেই খেলানো হবে সাকিবকে। সেজন্য নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার সপ্তাহ দুয়েক আগে তাকে শ্রীলঙ্কায় নিয়ে যাওয়ার ভাবনা আছে। দলের সঙ্গে না থেকে আলাদা করে অনুশীলন করবেন তিনি। জাতীয় দলের সাপোর্ট স্টাফরা আলাদা করে সেখানে ব্যাক্তিগতভাবে কাজ করতে পারবেন তার সঙ্গে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০)