নারায়ণগঞ্জে নিহতদের জানাজা সম্পন্ন
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে এ পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বপ্রথম গতকাল শিশু জুয়েল নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়। এরপর মৃত্যু হয় আরো ১৭ জনের।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ১২ জনের মরদেহ নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সবার মরদেহ মাঠে রাখা হয় এবং জানাজা শেষে মরদেহগুলো যার যার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিশুসহ ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একসঙ্গে এতগুলো মানুষ মারা যাওয়ায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাদের মৃত্যুতে পুরো এলাকায় কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। একই সঙ্গে শনিবার এলাকার সব দেকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।
নিহতদের মরদেহ গ্রহণ করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক। জানাজা শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন ইউএনও।
এদিকে নিহতদের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. জসিম উদ্দিন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা প্রায় ৫০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
ডা. সামন্ত লাল সেন সে সময় জানান, এ পর্যন্ত ৩৭ মুসল্লিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের সবারই ডিপ বার্ন রয়েছে। তবে শতাংশের হিসেবে কোন রোগীর কতটুকু বার্ন হয়েছে তা তাৎক্ষণিক বলা যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিকভাবে বলা যায়, কেউ শঙ্কামুক্ত নয়।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের ওই মসজিদের যে বিস্ফোরণ হয়েছে তা এসি বিস্ফোরণ নাকি গ্যাস লিকেজ থেকে হয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা। ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা জানান, তারা ঘটনার পর মসজিদে গ্যাস ডিটেক্টর দিয়ে পরিমাপ করেছেন। মসজিদের ভেতরে প্রায় ৭০ ভাগ মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির সদস্যরা বিস্ফোরণের কারণ নির্ণয় করবেন।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০)