দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনায় সংক্রমিত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে আরও ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে চার হাজার ৫১৬ জনের মৃত্যু হলো। একই সময়ে নতুন করে আরও দুই হাজার ২০৩ জনের শরীরে অদৃশ্য এই ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। আর নতুন সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ২৯৮ জন।

সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৭ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩০ জন ও নারী ৭ জন। হাসপাতালে ৩১ জন ও বাড়িতে ৬ জনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার হাজার ৫১৬ জনে।

করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯২টি করোনা শনাক্তকরণ আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে ১৫ হাজার ৪৮৮টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৫ হাজার ৪১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ২০২ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ২৭ হাজার ৩৫৯ জনে। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৪৪ হাজার ৭২০ জনে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৬৮ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুবরণকারী চার হাজার ৫১৬ জনের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ৫৩৪ জন (৭৮ দশমিক ২৬ শতাংশ) এবং নারী ৯৮২ জন (২১ দশমিক ৭৪ শতাংশ)।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণ দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৩৭ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব তিনজন, ত্রিশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব দুইজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব নয়জন এবং ষাটোর্ধ্ব ২১ জন রয়েছেন।

বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান অনুসারে, ৩৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ছয়জন, রাজশাহী বিভাগে দুইজন, খুলনা বিভাগে তিনজন, বরিশাল বিভাগে একজন, সিলেট বিভাগে চারজন, রংপুর বিভাগে সাতজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন রয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও জিংক-ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে।

করোনা মোকাবিলায় তরল খাবার, কুসুম গরম পানি ও আদা চা পান করতে হবে। সম্ভব হলে মৌসুমী ফল খাওয়া ও ফুসফুসের ব্যায়াম করা। এ সময় ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। কারণ, এটি ফুসফুসের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের করোনা আক্রান্ত মায়ের দুধপানে শিশুর করোনা আক্রান্ত হওয়ার কোনো তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পায়নি। অর্থাৎ, শিশুকে দুধপান করানো যাবে। তবে, এই সময়ে গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখার প্রতি বিশেষ আহ্বান জানানো হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০)