যেসব খাবার ধুমপানের ইচ্ছা কমায়
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: যারা ধুমপান করেন তাদের মধ্যে প্রায় সবাই এর ক্ষতিকার দিক জেনেও তা করেন। আমাদের পরিবার, আত্মীয় এবং সমাজে অনেকেই আছেন যারা ধুমপান করেন। ধূমপান যারা করেন, তাদের বেশ কিছু রোগের জন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বিশ্বে ধূমপায়ীদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়েই চলেছে। আর ধূমপানের এই নেশা ছাড়তে চেয়েও বার বার ব্যর্থতার মুখ দেখতে হয়েছে অসংখ্য মানুষকে। ধূমপান ছাড়ার পর ছয়মাস, এক বছর বা বছর দুই তিনেক কাটানোর পরও ফের ধূমপানের আসক্তিতে জড়িয়ে পড়েছেন অনেকে।
বাজারে নেশা ছাড়ানোর পদ্ধতিগুলোর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কার্যকরী হয় না। কিন্তু এমন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে, যা ধূমপানের নেশা পাকাপাকিভাবে ছাড়াতে খুবই কার্যকরী। আসুন জেনে নেওয়া যাক কী কী ঘরোয়া উপায়ে ধূমপানের নেশা থেকে মুক্তিলাভ সম্ভব।
মধু: মধুর বেশ কিছু ভিটামিন, উৎসেচক এবং প্রোটিন শরীর থেকে নিকোটিন বের করে দেওয়ার পাশাপাশি সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণ মধু সেবনের মাধ্যমে ধূমপান ছাড়তে কোনও অসুবিধাই হয় না।
আদা: ধূমপানের নেশা ছাড়াতে চাইলে আদার ব্যবহার করা যেতে পারে। আদা চা বা কাঁচা আদা নিয়মিত খেলে ধীরে ধীরে ধূমপানের ইচ্ছে কমে যায়। ধূমপানের ইচ্ছে হলেই যদি এক টুকরো কাঁচা আদা মুখে দেওয়া যায় তাহলে ধূমপানের ইচ্ছা প্রশমিত হবে অনেকটাই।
মূলা: ১ গ্লাস মূলার রসের সঙ্গে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে দিনে দুইবার করে নিয়মিত খেলে ধূমপানের ইচ্ছা একেবারে কমে যায়। শুধু ধূমপানের অভ্যাসই নয়, যে কোনও ধরনের নেশামুক্তির ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা মূলার উপরই ভরসা রাখেন।
মরিচের গুঁড়া: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নানাভাবে যদি নিয়মিত মরিচের গুড়া খাওয়া যায়, তাহলে ফুসফুসের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ধূমপান করার ইচ্ছাও কমতে থাকে। এক গ্লাস পানিতে অল্প পরিমাণ (এক চিমটে) মরিচর দিয়ে ফেলে সেই পানিটি পান করা যায়, সেক্ষেত্রে দারুন উপকার পাওয়া যেতে পারে।
আঙুরের রস: ধূমপানের ফলে শরীরের ভিতরে নিকোটিনের মাধ্যমে জমতে থাকা টক্সিন বেরিয়ে গেলেই ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, ধূমপানের ইচ্ছাও কমতে শুরু করে। আর আঙুরের রস ফুসফুসকে টক্সিন-মুক্ত করতে সাহায্য করে।
এই পদ্ধতিগুলো জানার পরও একটা কথা মাথায় রাখতে হবে। যে কোনও নেশা ছাড়ার জন্য চাই মনোবল এবং ধৈর্য। মনের জোরে ধৈর্য ধরে এই পদ্ধতিগুলোর যে কোনও একটা মেনে চলতে পারলেই সুফল মিলবেই।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১০সেপ্টেম্বর, ২০২০)