দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: চীন-ভারতের মধ্যে সৃষ্ট সাম্প্রতিক উত্তেজনা প্রশমনে এক মাসের জন্য হিমালয় সীমান্তের বিরোধপূর্ণ এলাকায় সেনা নিষ্ক্রিয় করতে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষই। শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে চীন এবং ভারত।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে পার্শ্ববৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াই ই এবং ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকে তারা দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করেন।

এদিন যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি কারোরই পক্ষে নেই বলে সম্মত হয়েছেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দুই পক্ষের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া, দ্রুত নিষ্ক্রিয়করণ, যথাযথ দূরত্ব বজায় রাখা এবং উত্তেজনা প্রশমনের বিষয়েও রাজি হয়েছেন তারা।

পরে পৃথক এক বিবৃতিতে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা কূটনৈতিক ও সামরিক মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখবে এবং বিতর্কিত সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতি ফিরিয়ে আনবে।

মস্কোর বৈঠকের বিষয়ে চীন বলেছে, মন্ত্রী ওয়াং ভারতের জয়শঙ্করকে বলেছেন, দু’পক্ষের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক গুলি চালানো ও উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড অবিলম্বে বন্ধ করা জরুরি। তিনি বলেছেন, সীমান্তে যত কর্মকর্তা ও সরঞ্জাম অনুপ্র্রবেশ করেছে তাদের সরাতে হবে এবং পরিস্থিতি সামলাতে সীমান্তে মোতায়েন উভয় পক্ষের বাহিনীকে দ্রুত নিষ্ক্রিয় করতে হবে।

মাস দুয়েক আগে লাদাখ সীমান্তে চীন-ভারতের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার পর গত সপ্তাহে আবারও সহিংসতায় জড়িয়েছে দুই পক্ষ। দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালানোর অভিযোগ করেছে। এ অবস্থায় শান্তি ফেরানোর প্রক্রিয়া হিসেবে মস্কোয় পার্শ্ববৈঠকে বসেছিলেন চীন-ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

সূত্র: রয়টার্স

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১১সেপ্টেম্বর, ২০২০)