লঞ্চে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ঘাতক গ্রেফতার
বরিশাল প্রতিনিধি: ঢাকা থেকে বরিশালগামী এমভি পারাবত-১১ লঞ্চের কেবিনে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত ঘাতককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একইসাথে নিহত নারীর পরিচয় জানা গেছে। বরিশাল পিবিআই কার্যালয়ে আজ বেলা ১০টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
এ সময় পিবিআই’র বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মো. হুমায়ন কবির জানান, ‘তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মিরপুর থেকে ঘাতক মো. মনিরুজ্জামানকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে নিহত লাবনীকে গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যার হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তার কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ওড়নাসহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।’
তিনি জানান, ‘ঘাতক মনিরুজ্জামান গাজিপুর জেলার কাপাশিয়া টোক গ্রামের আব্দুস সহিদের ছেলে। সে বর্তমানে ঢাকার মিরপুর দারুস সালাম এলাকার প্রিন্সিপাল আবুল হাসেম রোডের সরকারি কোয়ার্টারের একটি বাসায় বসবাস করত। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর লঞ্চ বরিশালে পৌঁছালে ঘাতক মনিরুজ্জামান লঞ্চ থেকে নেমে বাসযোগে ঢাকায় চলে আসে।’
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বরিশাল নৌ থানার এসআই অলক চৌধুরী বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ওই নারীর লাশ শনাক্ত করেন তার পরিবারের সদস্যরা। পরে তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
নৌ-পুলিশ সূত্র জানায়, নিহত নারীর নাম লাবনী। তার দুই ছেলে আছে। তার স্বামী একজন ইলেকট্রিশিয়ান। ঢাকার পল্লবী-২ নম্বর এলাকার একটি বাসায় থাকতেন তিনি। তাদের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায়।
চাকরির প্রলোভনে গত সোমবার ঢাকার সদরঘাট থেকে মো. মনিরুজ্জামানের সঙ্গে লঞ্চযোগে বরিশাল আসছিলেন লাবনী। ওই দিন রাত ৯টা পর্যন্ত লাবনীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় তার বাবার। পরদিন সকালে লঞ্চের কেবিন থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে আঙ্গুলের ছাপ অনুযায়ী তার পরিচয় উদঘাটন করে পুলিশ।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৬সেপ্টেম্বর, ২০২০)