শুক্রকে নিজেদের গ্রহ দাবি রাশিয়ার
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: পৃথিবী ছাড়িয়ে কর্তৃত্বের লড়াই মহাকাশে পৌঁছেছে। মহাকাশে থাকা গ্রহ নক্ষত্রের দিকেও হাত বাড়াতে শুরু করেছে ক্ষমতাধর দেশগুলো। তারই বড় উদাহরণ হলো, পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের গ্রহ শুক্রকে নিজেদের গ্রহ বলে দাবি করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাসের বরাত দিয়ে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
মস্কোর হেলিকপ্টার শিল্পের আন্তর্জাতিক এক্সপো হেলিরাশিয়া ২০২০ প্রদর্শনীতে সাংবাদিকদের রুশ মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের প্রধান দিমিত্রি রোগোজিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পূর্বপরিকল্পিত শুক্র অভিযান ‘ভেনেরা-ডি’ ছাড়াও তার দেশ নতুন করে শুক্র গ্রহে নিজেদের আরও একটি অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, ‘শুক্রে পুনরায় অনুসন্ধান আমাদের নির্ধারিত কর্মসূচির অন্তর্ভূক্ত। আমরা মনে করি শুক্র রাশিয়ার একটি গ্রহ, সুতরাং আমাদের পিছিয়ে থাকা উচিত নয়।’
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, শুক্র গ্রহে পৃথিবীর মতো ফসফিন গ্যাসের অস্তিত্ব রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্বও রয়েছে। বিজ্ঞানীদের এমন দাবির পরই শুক্রকে নিজেদের গ্রহ হিসেবে দাবি করলো রাশিয়া।
শুক্র গ্রহের মেঘ ভীষণ রকম অম্লীয় (অ্যাসিডিক)। এই মেঘে ফসফিনের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ, এই গ্যাস পৃথিবীতে উৎপন্ন হয় ব্যাকটেরিয়া থেকে। অক্সিজেন রয়েছে—এমন পরিবেশে থাকা ব্যাকটেরিয়া এই গ্যাস নিঃসরণ করে।
যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী জেন গ্রিভসের নেতৃত্বে এই গবেষণাটি পরিচালিত হয়। গত সোমবার এ সংক্রান্ত গবেষণা নিবন্ধটি নেচার অ্যাস্ট্রোনমি নামের একটি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। শুক্র গ্রহে এমন পদার্থের অস্তিত্বের বিস্মিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানী গ্রিভস।
রাশিয়ার এমন দাবির পর ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা জানিয়েছে, শুক্র গ্রহ নিয়ে আলাপ উঠলে স্বীকার করতে হবে যে রাশিয়ানদের এই গ্রহটি নিয়ে বিপুল অভিজ্ঞতা রয়েছে। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ১৯৬৭ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত শুক্র গ্রহ নিয়ে রাশিয়ায় যে গবেষণা হয়েছে তা এই গ্রহে আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণায় সবচেয়ে বেশি।
শুক্র পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের গ্রহ। এর আয়তনও পৃথিবীর সমান। এই গ্রহকে পৃথিবীর প্রতিবেশি গ্রহ বলা হয়ে থাকে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২০সেপ্টেম্বর, ২০২০)