আবরারের বাবা অসুস্থ, প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সহপাঠীদের হাতে নির্যাতিত হয়ে প্রাণ হারানো বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বাদী ও তার বাবা বরকতুল্লাহ অসুস্থ থাকায় প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
রবিবার ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য প্রথম দিন ধার্য ছিল।
মামলায় মোট ৬০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এর আগে মামলার বাদী বরকতুল্লাহ আদালতে হাজির হন। তবে তিনি অসুস্থ থাকায় সাক্ষ্য দিতে অপ্রস্তুত ছিলেন।
এসময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করে। পরে আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৫ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর এ মামলার অভিযোগ গঠন করে আদালত। এসময় আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করে।
গত ২ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি করেন। তারপর এ মামলার ১৩ আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবী শুনানি শেষ করেন। বাকি আসামিদের পক্ষে শুনানি শেষ না হওয়ায় আদালত অভিযোগ গঠনের জন্য ৯ সেপ্টেম্বর নতুন দিন ধার্য করে। ওইদিন মামলার বাকি ৯ আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবী শুনানি শেষ করে। এ সময় আদালত অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করে।
এর আগে গত ২২ মার্চ একই আদালত অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ ৬ এপ্রিল ঠিক করে। কিন্তু করোনার কারণে শুনানি হয়নি। গত ৯ আগস্ট আদালত গঠন শুনানির ২ সেপ্টেম্বর নতুন দিন ধার্য করে।
গত বছরের ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে ২৫ আসামিকে অভিযুক্ত করেন। মামলার আসামিরা হলেন ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার ওরফে অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্ত, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, গ্রন্থ ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মুজাহিদুর রহমান, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান মাজেদ, শামীম বিল্লাহ, মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা, এএসএম নাজমুস সাদাত, আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম, এস এম মাহমুদ সেতু, মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মন্ডল ওরফে জিসান, এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম ও মুজতবা রাফিদ।
আসামিদের মধ্যে তিনজন পলাতক। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। আসামিদের মধ্যে আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় আবরার ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত এই ঘটনায় চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২০সেপ্টেম্বর, ২০২০)