‘খলনায়ক’ কোহলি
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: চলতি আইপিএলের প্রথম দু’টি ম্যাচেই ব্যর্থ বিরাট কোহলি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ১৪ রান। বৃহস্পতিবার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে তার সংগ্রহ মাত্র ১ রান। এছাড়া লোকেশ রাহুলের দু’টি সহজ ক্যাচ ফেলেন তিনি। ক্যাপ্টেনের ব্যর্থতার রেশ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বাকিদের মধ্যে। ফলে সহজেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর চ্যালেঞ্জ টপকে এই আইপিএলে প্রথম জয় পেল পাঞ্জাবের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
বৃহস্পতিবারের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ৩ উইকেটের বিনিময়ে তোলে ২০৬ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৭ ওভারে ১০৯ রানে শেষ হয় বিরাটদের ইনিংস। ৯৭ রানে জেতে প্রীতি জিন্তার দল।
বলতে গেলে লোকেশ রাহুল একাই হারিয়ে দিয়েছেন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে। তার ইনিংস সাজানো রয়েছে ১৪টি চার ও ৭টি ছয় দিয়ে। চলতি আইপিএলে প্রথম শতরানের মালিক তিনিই। সেই সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে এই টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি রান করার (১৩২ অপরাজিত) নজির গড়লেন রাহুল।
একটা সময় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের জন্য ১৬০ পার করাও কঠিন মনে হচ্ছিল, সেই দলটিকেই ২০৬ রানের বড় পুঁজি এনে দিয়েছেন পাঞ্জাব অধিনায়ক। করেছেন বিধ্বংসী হার না মানা সেঞ্চুরি।
আর ঠিক উল্টো চিত্র ব্যাঙ্গালুরু শিবিরে। ২০৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক হিসেবে যেমন খেলা দরকার ছিল, তার কিছুই করতে পারেননি বিরাট কোহলি। ১ রানেই ফিরেছেন সাজঘরে। দল হেরেছে ১০৯ রানের বিশাল ব্যবধানে।
অবশ্য এর থেকেও সবচেয়ে বড় অপরাধ আগেই করে ফেলেছিলেন ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক। যে রাহুলের ব্যাটে চড়ে পুঁজিটাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছে পাঞ্জাব, সেই রাহুলের ক্যাচই দুই দুইবার ফেলে দিয়ে ‘খলনায়ক’ বনেছেন কোহলি। ৮৩ আর ৮৯ রানে তার হাত ফস্কে বেরিয়ে যাওয়া পাঞ্জাব দলপতি শেষতক ৬৯ বলে অপরাজিত থাকেন ১৩২ রানে।
আগেই ঝড়ো ব্যাটিং করছিলেন, জীবন পাওয়ার পর রীতিমত বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন রাহুল। স্লগ ওভারে যা বড়সড় বিপদ ডেকে আনে ব্যাঙ্গালুরুর জন্য। আইপিএলের নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূরণই কেবল নয়, শেষ ৪ ওভারে করুণ নায়ারের সঙ্গে জুটি বেঁধে স্কোরবোর্ডে ৭৪ রান যোগ করেন রাহুল। যা কার্যত ম্যাচ থেকেই ছিটকে দেয় ব্যাঙ্গালুরুকে।
এমন এক হতাশার দিন শেষে আর কি অজুহাত দেখাবেন কোহলি! তাইতো হারের দায় নিজের কাঁধে তুলে নিলেন। ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে বললেন, ‘আমার বোলাররা বল হাতে মাঝের ওভারগুলোতে যথেষ্ট সপ্রতিভ ছিল। সামনে দাঁড়িয়ে এই হারের দায় আমাকেই নিতে হবে।’
কোহলির কথা, ‘আমরা যদি ওদের ১৮০ রানের মধ্যে বেঁধে রাখতে পারতাম, তাহলে ব্যাটিংয়ে শুরু থেকে এতোটা চাপ আসত না। এমন একেকটা দিন আসে যেদিন কোনও কিছু পরিকল্পনামাফিক হয় না। এগুলো মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। আমাদের এই ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’
অনেকটা রাখঢাক না করেই কোহলি বলেন, ‘যেমনটা আমি বললাম ওই দুটি সুযোগের ক্ষেত্রে আমার সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত ছিল, এমনকি পরে ব্যাট হাতেও। আমাদের উচিত ছিল চাপকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া। কিন্তু আমরা পারিনি।’
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৫সেপ্টেম্বর, ২০২০)