জানাজার নামাজ
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: মৃত পুরুষ বা স্ত্রী সকলের জন্যই জানাজার নামাজ পড়া অত্যাবশ্যক। যে শিশু জন্মগ্রহণ করার পর মুহূর্তে মারা যায় তারও জানাজার নামাজ পড়তে হয়। এতে অংশগ্রহণ করা ফরজে কেফায়া (যে কাজ সবার পক্ষে একজনে করলে তা আদায় হয়ে যায়, কিন্তু কেউ না করলে গোনাহগার হয়, তাকে ফরজে কেফায়া বলে)।
১. হজরত আবু হোরায়রা (রা) হতে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন তোমরা মৃত ব্যক্তির জন্য জানাজা পড় তখন তার জন্য খাঁটি মনে দোয়া কর। (আবু দাউদ, ইবনে মাযাহ)
২. হজরত মালেক বিন হোবারাহ (রা) হতে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলমানের মৃত্যুর পর যদি তিন সারি মুসলমান তার জানাজা পড়ে, তার জন্য বেহেশত সুনিশ্চিত। (আবু দাউদ)
৩. হজরত জাবের (রা.) হতে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, শিশুর কোনো জানাজা নেই। যে পর্যন্ত সে শ্বাস-প্রশ্বাস না ফেলে সে পর্যন্ত সে কারো উত্তরাধিকারী না এবং তারও কেউ ওয়ারিশি নয়। (তিরমিজি, ইবনে মাযাহ)
৪. হজরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যদি কোনো মৃত ব্যক্তির জন্য মুসলমানদের একশত জনের একটি জামাত (দল) জানাজা পড়ে এবং প্রত্যেকই তার জন্য ক্ষমা প্রার্থণা করে, আল্লাহ তাদের প্রার্থনা কবুল করবেন। (মুসলিম)
৫. হজরত সাওবান (রা.) হতে বর্ণিত- আমরা হজরত (সা.) এর সাথে একটি মৃত দেহ নিয়ে বের হলাম। তিনি কতক লোককে আরোহণ করে যেতে দেখে বললেন, তোমাদের কি লজ্জা হয় না যে, আল্লাহর ফেরেশতাগণ মাটির উপর হাঁটতেছে আর তোমরা প্রাণীর পৃষ্ঠে আরোহণ করেছো? (তিরমিজি, ইবনে মাযাহ)
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৬সেপ্টেম্বর, ২০২০)