কনডেম সেলে একা মিন্নি
বরগুনা প্রতিনিধি: বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামিকে বরগুনা জেলা কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। সেখানে এখন এই ছয় বন্দী ব্যতীত অন্য কোনো কারাবন্দি নেই এবং নারী বন্দীদের মধ্যে একমাত্র মিন্নিই কনডেম সেলে রয়েছেন।
বরগুনা জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক (জেল সুপার) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, এই মুহূর্তে বরগুনা কারাগারের কনডেম সেলে মিন্নি ব্যতীত অন্য কোনো নারী বন্দী নেই। এছাড়া আলোচিত এ হত্যা মামলার অপর ৫ পুরুষ আসামি ছাড়া কনডেম সেলে অন্য কোনো পুরুষ বন্দীও নেই।
তিনি বলেন, মিন্নিকে রাখা হয়েছে নারী ওয়ার্ডের কনডেম সেলে। আর পুরুষ বন্দীরা আছেন পুরুষ ওয়ার্ডের কনডেম সেলে।
জেল সুপার জানান, কারাবিধি অনুযায়ী ছয় বন্দীকেই কনডেম সেলে থালা, বাটি ও কম্বল দেয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রতি আসামিকে কারাগারের পক্ষ থেকে দুই সেট পোশাক দেয়া হয়েছে। এ পোশাক তারা পরিধান করবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপাতত এই আসামিদের উচ্চ আদালতে আপিল করার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
গত বছর ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের সড়কে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে নয়ন বন্ডের গড়া কিশোর গ্যাং বন্ড গ্রুপ। এ হত্যা মামলায় ২৪ জনকে আসামি করে দুটি ভাগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এর মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৪ জন শিশু আসামি।
এ হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯) , আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩)।
তবে এ রায়ে সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়েছিলেন আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। গতকাল রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, তার মেয়ে এই মামলায় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। তিনি রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি এবং হাইকোর্টে আপিল করবেন বলেও জানান।
এ মামলার প্রধান আসামি ছিলেন সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড। তিনি গত বছর জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১ অক্টোবর, ২০২০)