দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: নিয়োগ জালিয়াতির আরেক প্রতিষ্ঠান আব্দুল খালেক মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় । সম্প্রতি এমপিওভুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠান রাজধানীর ভাটারায় ১৯৮৯ সালে স্থাপিত আব্দুল খালেক মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে চাকুরী করা মুহাম্মদ আব্দুছ ছোবহান ( বৈধ মৌলবী শিক্ষক ) জানান সিনিয়র শিক্ষকদের অক্লান্ত চেষ্ঠায় মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করে প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত করা হয় ।

গত ২৩ অক্টোবর ২০১৯ বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের প্রতিষ্ঠান এমপিও ঘোষণা করেন । গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানের বিশেষ কমিটি বাদ দিয়ে মাননীয় এডিসি মহদয় জনাব মমিন উদ্দিন স্যারকে সভাপতি এবং প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক জনাব আয়শা আক্তার কে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করে চার সদস্যের একটি এডহক কমিটি করা হয় । আয়শা আক্তার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হয়েই শিক্ষকদের এমপিও করণে অর্থ বানিজ্য ও স্বজনপ্রীতি শুরু করে দেন । প্রায় সকল শিক্ষকদের নিকট হতে মোটা অংকের অর্থ আদায় করেন এমনকি তার আপন ছোটভাই মো: একরাম হোসেনকে নিয়োগ জালিয়াতি করে এমপিও ভুক্ত করেন ।

এমন আরোও একজনের নিয়োগ জালিয়াতি করেন । সেক্ষেত্রে সাবেক প্রধান শিক্ষক মিসেস নাজনীন খালেক ( অবঃ ) এর স্বাক্ষর জাল করে ২০১২ সালে নিয়োগ দেখানো হয় । অথচ জনাব আব্দুছ ছোবহান একজন প্রবীণ বৈধ শিক্ষক হয়েও স্বপদে এমপিও হতে পারেন নি । তিনি গত ৩১ মে থানা মাধ্যমিক ও জেলা মাধ্যমিক এবং ২২ জুন সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ জানালে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয় । তদন্ত টিম গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে তদন্ত করে গেলেও প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেননি ।

অত্র বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জনাব মো: মোস্তফা কামাল সাহেবের কাছ থেকে জানা যায় তিনি ২০০৭ সালে যোগদানের পর থেকেই জনাব আব্দুছ ছোবহান সাহেব ইসলামি শিক্ষায় পাঠদান করতে দেখে আসছেন । একরাম সাহেব ক্লাস নিতেন মানবিক শাখার বিষয় । একরামকে ইসলাম শিক্ষায় কখনোও নিয়োগ দেন নি । তারা অত্র বিদ্যালয়ে একই পরিবার স্বামী স্ত্রী ও ছোট ভাই সহ তিনজন ও ভাগিনা মিলে চারজন অত্র বিদ্যালয়ে চাকরি করছেন। বিদ্যালয়ের মালিকানা থাকা অবস্থায় চাটুকারি করে মালিক পক্ষকে ম্যানেজ করে আয়শা আক্তার নিজের ইচ্ছেমত তাদের স্বার্থ উদ্ধারে বিদ্যালয় পরিচালনা করতেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদ্য এস এস সি পাস করা কয়েকজন শিক্ষার্থীর নিকট থেকে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায় । জনাব আব্দুছ ছোবহান সাহেব আক্ষেপ করে বলেন আমি দরিদ্র পরিবারের সন্তান, আমার স্ত্রী এবং দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে বড়জন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে ছোটজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।

সামান্য বেতনে তাদের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে সংসার চালানো আমার পক্ষে অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে । আমার চাকুরীর বয়সও তেমন নাই । কাজেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন শেষ বয়সে আমার এমপিওভুক্ত করণে সহায়তা করলে বাকি জীবন ভালোভাবে কাটবে ইনশাআল্লাহ । একইসাথে যারা এই জালিয়াতির সাথে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই ।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/৩০সেপ্টেম্বর, ২০২০)