দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষনের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানি করে ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার মামলার প্রধান আসামি বাদল ঢাকা হতে এবং দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে অস্ত্রসহ নারায়ণগঞ্জ হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এই নিয়ে এখন পর্যন্ত ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

এর আগে ( রোববার) দিবাগত রাত ১টার দিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নির্যাতিতা গৃহবধূ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। পরে দুই দফায় অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে আটক করে পুলিশ। এক আসামিকে রোববার বিকেল ৪টায় এবং অপর আসামিকে রাত ১১টায় একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড থেকে আটক করে পুলিশ।

আটকরা হলেন, উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জয়কৃঞ্চপুর গ্রামের খালপাড় এলাকার হারিদন ভূঁইয়া বাড়ির শেখ আহম্মদ দুলালের ছেলে মো. রহিম ও একই এলাকার মোহর আলী মুন্সি বাড়ির মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মো. রহমত উল্যাহ।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন উর রশীদ চৌধুরী জানান, পুলিশের ৫টি ইউনিট ৭ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে দুই আসামি আটক করেছে। অপরদিকে ভয়ে বাড়ি ছাড়া নির্যাতিতা গৃহবধূকে সদর উপজেলার মাস্টার পাড়ার তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এছাড়া মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত মাসের ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রেখে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে শ্লীলতাহানি করে স্থানীয় বাদল ও তার সংঘবদ্ধ বখাটে যুবক দল। ওই সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তারা তাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ করে।

তিনি আরো জানান, পুলিশ অভিযুক্ত অপর আসামিদের গ্রেফতারে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। আটক আসামিদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, রোববার দুপুরের দিকে ঘটনার ৩২দিন পর গৃহবধূকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পেলে তা ভাইরাল হয়। এতে টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের। ঘটনার পর থেকে গত ৩২ দিন অভিযুক্ত স্থানীয় দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও তাদের সহযোগীরা নির্যাতিতা গৃহবধূর পরিবারকে কিছুদিন অবরুদ্ধ করে রাখেন। এক পর্যায়ে তার পুরো পরিবারকে বসতবাড়ি ছাড়তে বাধ্য করলে পুরো ঘটনা দীর্ঘদিন স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ প্রশাসনের অগোচরে থাকে। পরে ঘটনার জানাজানি হলে পুলিশ দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে ২ আসামিকে আটক করে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৫ অক্টোবর, ২০২০)