বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম : সংসারের সুখ-শান্তি ফেরাতে জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের আরব-আমিরাতে সারজায় দীর্ঘ পাঁচ বছর আগেই পাড়ি জমিয়েছিলেন মোহাম্মদ শফি। মাঝে তিন বছর পূর্বে একবার দেশে এসেছিলেন তিনি। মা-বাবা, স্ত্রী, পুত্র-কন্যার সুখের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেছিলেন। এক সময় সুখও ফিরে আসে দুঃখী পরিবারে। সেই সুখের আভাস নিতে বাড়ির উদ্দেশে প্রবাস থেকে ৩ বছর পর সোমবার ফিরছিল শফি (৪০)।

শফির প্রবাস থেকে ফেরার খবরে আনন্দে মেতে উঠেছিল সবাই। উৎফুল্ল মন নিয়েই শফিকে আনতে চট্টগ্রাম শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরে গিয়েছিল মা, শাশুড়ি-পুত্র-কন্যাসহ স্বজনরা।

কিন্তু অনন্দ ভাগাভাগাগি হলো না। বরং নিহত হলো স্বজনরা। নিজের চোখের সামনেই আগুনে পুড়ে মরতে দেখল মা-শাশুড়ি আর ভাবীকে। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা নিস্তব্ধ করে দিয়েছে তাকে।

সোমবার তার নিজবাড়ি হারুয়ালছড়ির পাটিয়ালছড়ি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মাটির তৈরি ঘর। বাড়ির উঠোনে জড়ো হয়েছেন এলাকাবাসী। আহাজারীতে বাড়ির বাতাস যেন ভারি হয়ে আছে। সবার মধ্যমণি সেই শফি। তাকে সান্তনা দিতে ব্যস্ত সকলেই।

উল্লেখ্য, আরব আমিরাত থেকে দেশে ফিরে গ্রামের বাড়িতে আসার পথে সোমবার ১টায় ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট কাজিরহাট সড়কের সুয়াবিল এলাকায় প্রবাসী শফিকে আনতে যাওয়া মাইক্রোবাসটির গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এতে শফির মা (ছোনোয়ারা বেগম), শাশুড়ি (হালিমা খাতুন) ও ভাবী (পারভিন আক্তার) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।

(দ্য রিপোর্ট/কেএইচসি/এফএস/এমসি/আরকে/মার্চ ১৮, ২০১৪)