দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: হাইকোর্টে হাজির হতে বাকেরগঞ্জের থানার ওসি, ধর্ষণ মামলার ৪ নাবালক শিশু আসামি ও তাদের অভিভাবকসহ বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে নৌপথে রওয়ানা করেছেন। শনিবার (১০ অক্টোবর) রাত ৯টায় বরিশাল নদী বন্দর থেকে “এম.ভি কুয়াকাটা-২” নামক লঞ্চে যাত্রা করেন তারা। ৪ শিশুর সাথে তাদের ৪ জন অভিভাবক রয়েছেন।

এরআগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ শিশুদের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রুনসী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে অভিভাবকসহ বরিশাল নিয়ে আসে। তবে সাংবাদিকদের নজর এড়াতে লঞ্চ ছাড়ার আগ মুহূর্তে শিশুদের লঞ্চে উঠানো হয়।

বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) রাতে হাইকোর্ট ধর্ষণ মামলার আসামি ওই ৪ নাবালক শিশুকে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে মুক্তির নির্দেশ দিয়ে দ্রুত অভিভাবকদের কাছে পৌঁছাতে বলে। একই সাথে শিশুদের অভিভাবক সহ ওসি এবং বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকেও তলব করেন হাইকোর্ট।

এরআগে গত ৭ অক্টোবর এই আদালত শিশুদের যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এ নির্দেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশ শিশুদের জোর করে প্রিজন ভ্যানে তুলে দেয়। নাবালক শিশুদের সাথে এমন আচরণ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রচার হলে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে ৮ অক্টোবর রাতে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার ৪ নাবালক শিশুকে মুক্তি দিয়ে দ্রুত অভিভাবকের কাছে পৌছে দেবার নির্দেশ দেন।

এরআগে গত ৬ অক্টোবর ঐ এলাকার ৬ বছরের এক কন্যা শিশুর বাবা বাদী হয়ে কন্যা শিশুর খেলার সাথী ঐ ৪ নাবালক শিশুর বিরুদ্ধে বাকেরগঞ্জ থানায় ধর্ষণের মামলা করেন।

ঢাকা : হাইকোর্টে হাজির হতে বাকেরগঞ্জের থানার ওসি, ধর্ষণ মামলার ৪ নাবালক শিশু আসামি ও তাদের অভিভাবকসহ বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে নৌপথে রওয়ানা করেছেন। শনিবার (১০ অক্টোবর) রাত ৯টায় বরিশাল নদী বন্দর থেকে “এম.ভি কুয়াকাটা-২” নামক লঞ্চে যাত্রা করেন তারা। ৪ শিশুর সাথে তাদের ৪ জন অভিভাবক রয়েছেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১১ অক্টোবর, ২০২০)