‘বিএসটিআইকে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে’
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, পণ্যের মান প্রণয়ন ও উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের আস্থা পূরণে বিএসটিআইকে আরো দক্ষ, জবাবদিহিমূলক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বুধবার বিশ্ব মান দিবস’ উপলক্ষে মঙ্গলবার এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)-এর উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ১৪ অক্টোবর ‘বিশ্ব মান দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। আন্তর্জাতিক মান সংস্থাসমূহ এবারের বিশ্ব মান দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘পৃথিবী সুরক্ষায় মান’ যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সভ্যতার ক্রমবিকাশের সাথে সাথে বিশ্বব্যাপী শিল্পক্ষেত্রে ব্যাপক প্রসার ও উন্নতি ঘটছে। ফলে পরিবেশ ও জনজীবনের উপরেও নেতিবাচক প্রভাব বাড়ছে। যথাযথ কর্মপরিকল্পনা ও আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে এ সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব। দেশে শিল্পায়নের ক্ষেত্রে মানসম্মত পণ্য উৎপাদন ও সেবা প্রদান নিশ্চিতের পাশাপাশি শিল্পায়ন ও দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্ব পরিমন্ডলে সকলের সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক মান হচ্ছে একটি অন্যতম হাতিয়ার। বিশ্ব মান দিবসের তাৎপর্যকে বিবেচনায় নিয়ে দেশীয় শিল্পোদ্যোক্তাগণ আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ ও বাস্তবায়নে অধিকতর মনযোগী হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আবদুল হামিদ বলেন, বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিশেষায়িত অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপাশি মান উন্নয়ন ও প্রয়োগে শিল্প উদ্যোক্তা, বিক্রেতা ও ভোক্তা সাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে বিশ্ব মান দিবস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পণ্য উৎপাদন, বিপণন ও সেবা প্রদানসহ সকল ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ অপরিহার্য। পণ্য ও সেবার মান প্রণয়ন ও উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণকে কাঙ্খিত সেবা প্রদানে জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে বিএসটিআই-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
তিনি বলেন, জনগণের আস্থা পূরণে বিএসটিআইকে আরো দক্ষ জবাবদিহিমূলক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি আশা করেন জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে বিএসটিআই পণ্যের মান প্রণয়ন ও উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হবে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৪ অক্টোবর, ২০২০)