আইপিওর অনুমোদন পাওয়া এএফসির বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সম্প্রতি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন পাওয়া এএফসি হেলথ লিমিটেড প্রসপেক্টাসে মিথ্যা বিবৃতি ও ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে, ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ফরটিস হেলথস্টাফ লিমিটেড ও এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার লিমিটেড বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে(বিএসইসি) যে অভিযোগ উত্থাপন করেছিল সেটা সত্য নয় বলে দাবি করেছে এএফসি হেলথ লিমিটেড। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) এ অভিযোগের বিপরীতে বিএসইসিতে ব্যাখ্যা দিয়েছে এএফসি হেলথ।
ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ফরটিস হেলথস্টাফ লিমিটেড ও এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার চিঠিতে বলেছে, কেবল খুলনা এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলকে কেন্দ্র করে তাদের সাথে এএফসি হেলথ লিমিটেডের চুক্তি হয়েছিল।চিঠিতে, ফোর্টিস ব্র্যান্ড ব্যবহার করে অন্য কোনও জায়গায় স্বাস্থ্যসেবা পরিচালনার অধিকার এএফসি হেলথের নেই উল্লেখ করে বলা হয়, এএফসি আইন লঙ্ঘন করে জেনেশুনে মিথ্যা বিবৃতি দিয়েছে এবং কমিশনকে বিভ্রান্ত করছে।
এ অভিযোগের জবাবে, এএফসি হেলথের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) মোঃ তৌফিক হাসান বলেন, ফরটিস ইন্ডিয়া ম্যানেজমেন্টে অনেকবার পরিবর্তন এসেছে। শেষমেষ একটি মালয়েশিয়ান ভিত্তিক কোম্পানি (আইএইচএইচ) ফরটিস হেলথকেয়ারকে অধিগ্রহণ করেছে। অধিগ্রহণের ফলে আগামী ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে ফরটিস হেলথকেয়ার নাম পরিবর্তন করে ‘পার্কওয়ে’ নামে পরিচালিত হবে। আমাদের কুমিল্লা ইউনিটের জন্য ফোর্টিস হসপিটালস লিমিটেডের সাথে ১০ই মে ২০১৪ সাল থেকে ১৫ বছরের মেয়াদে বৈধ চুক্তি ছিল। এ হিসেবে ২০৩১ সাল পর্যন্ত কুমিল্লাসহ খুলনা ও চট্টগ্রামে হাসপাতাল পরিচালনা করার এখতিয়ার রয়েছে এবং এএফসি হেলথ ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে শুধু তদারকি সহায়তার চুক্তি রয়েছে।
তিনি জানান, ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্টের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির ফলে তারা এ অভিযোগ করেছে। প্রকৃত অর্থে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এএফসি হেলথ লিমিটেডের চুক্তি আইন অনুসারেই হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএসইসির মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘ফরটিস হেলথস্টাফও এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউটের অভিযোগপত্র আমাদের কাছে পৌছেছে। দুইপক্ষের বক্তব্যের ভিত্তিতেঅচিরেই এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হবে। । এসময়, তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, গত ১৩ অক্টোবর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে পাঠানো এক চিঠিতে এ অভিযোগ জানায় ভারতীয় ওই প্রতিষ্ঠান ।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর পুজিঁবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের জন্য এএফসি হেলথ লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটি অভিহিত মূল্যে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। যা দিয়ে মেশিনারিজ ও ইক্যুপমেন্ট ক্রয় এবং আইপিও খরচ বাবদ ব্যয় করা হবে।
এএফসি হেলথের ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৪৭ টাকা। শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) ১৩.১৩ টাকা।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে ইমপেরিয়াল ক্যাপিটাল ও সিএপিএম এডভাইজরি।
দ্য রিপোর্ট/এএস/ ২৩ অক্টোবর,২০২০