কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের জামষাইট গ্রামে বড়ভাই-ভাবি ও ভাতিজাকে হত‌্যার কথা স্বীকার করেছেন ছোট ভাই দ্বীন ইসলাম।

শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ২টায় কটিয়াদি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম.এ জলিল দ্বীন ইসলামের স্বীকারোক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন— কটিয়াদীর বনগ্রাম ইউনিয়নের জামষাইট গ্রামের মৃত মীর হোসেনের ছেলে মো. আসাদ মিয়া (৫৫), তার স্ত্রী পারভিন (৪৫) ও তাদের আট বছর বয়সি ছেলে লিয়ন। নিহত মো. আসাদ মিয়া জমশাইট বাজারের ব্যবসায়ী। তোফাজ্জল (২৫) ও মোফাজ্জল (১৩) নামে তাদের আরও দুটি ছেলে ছিল। ওরা বাড়িতে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যায়।

এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ওসি এম.এ জলিল জানান, তিনজনকে হত‌্যার ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন‌্য নিহত আসাদের ছোট ভাই দ্বীন ইসলাম, বোন নাজমা, ভাগ্নে আল-আমিন ও তার মাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এসময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দ্বীন ইসলাম ওই তিনজনকে হত‌্যার কথা স্বীকার করেছেন। অন‌্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

ওসি আরও জানান,জমিজমা ও পারিবারিক বিরোধের কারণে এ নির্মম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে আসাদের সঙ্গে তার ভাইয়ের জমিজমাসহ নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। এসব নিয়ে তাদের মধ্যে আগেও ঝগড়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

উল্লেখ‌্য, বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) মো. আসাদ মিয়া (৫৫), তার স্ত্রী পারভিন (৪৫) ও তাদের আট বছর বয়সি ছেলে লিয়নকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। হত্যার পর বাড়ির পেছনে তাদের মাটি চাপা দেওয়া হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে একই গর্ত থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/৩০ অক্টোবর, ২০২০)