শান্তিনগরেই শেষ হেফাজতের মিছিল
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনীর প্রতিবাদে ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাস অভিমুখে হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের মিছিল পুলিশের বাধায় শান্তিনগর মোড়েই শেষ হয়ে গেছে।
সোমবার দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর পল্টন মোড় থেকে ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির মিছিল শুরু হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন হেফাজতের শীর্ষনেতা আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
দুপুর পৌনে ১টার দিকে মিছিলটি শান্তিনগর মোড়ের সামনে গেলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। পরে হেফাজতের নেতারা সেখানে দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। এবং মুনাজাত করে ঘেরাও মিছিল সমাপ্ত করেন হেফাজতের ঢাকার শীর্ষনেতা নূর হোসেন কাশেমী।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ফ্রান্সের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন, রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার, ফরাসি পণ্য বর্জন, সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাস ও দূতাবাস বন্ধে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় হেফাজতের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
এর আগে ভোর ৬টা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হেফাজতের কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা ১১টায় সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বিজয়নগর, প্রেসক্লাব থেকে পল্টন, গুলিস্তান সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়। আশপাশের এলাকায় প্রচুর সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়।
স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাক-স্বাধীনতার ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়ে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের উপকণ্ঠের একটি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটি হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর কার্টুন প্রদর্শন করেন। এ ঘটনার পর গত ১৬ অক্টোবর ১৮ বছর বয়সী এক চেচেন কিশোর স্যামুয়েলকে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করেন।
স্যামুয়েল হত্যাকাণ্ডের পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তার ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর কার্টুন প্রদর্শনী অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। এ নিয়ে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০২নভেম্বর , ২০২০)