দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঘুষ গ্রহণ ও অর্থপাচার আইনের মামলায় বরখাস্তকৃত সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছে আদালত। এর মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলাটির বিচার শুরু হলো।

বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ-১০-এর বিচারক নজরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। একইসঙ্গে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

এর আগে ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ দুদকের দেয়া এই চার্জশিট গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে মামলার চার্জগঠন শুনানির জন্য ঢাকার বিশেষ জজ-১০ আদালতে বদলি করেন।

২৪ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন এ চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ পার্থ গোপাল বণিককে আসামি করে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, বরখাস্তকৃত কারা উপ-মহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিক সরকারি চাকরিতে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন। এসব টাকা গোপন করে তার নামীয় কোনো ব্যাংক হিসাবে জমা না রেখে বিদেশে পাচারের উদ্দেশে নিজ বাসস্থানে লুকিয়ে রেখে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

কারাগারের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পার্থ গোপাল বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সেদিন বিকালে ধানমন্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপালের ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করে দুদক। এরপরেই আটক করা হয় তাকে।

পরদিন ২৯ জুলাই দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) একটি মামলা করেন। মামলার পরপরই আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৪নভেম্বর , ২০২০)