রিমান্ড শেষে দেহরক্ষীসহ কারাগারে ইরফান
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের (বরখাস্ত) কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জিয়াউর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে করা মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিমান্ড শেষে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মবিনুল হক তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন খারিজ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে গত ১ নভেম্বর তাদের দুজনের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে একই মামলায় গত ২৮ অক্টোবর আদালত তাদের দুজনকে তিন দিন করে রিমান্ডে দিয়েছিলেন।
গত ২৬ অক্টোবর সকালে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত দু-তিনজনকে আসামি করে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।
গত ২৫ অক্টোবর রাতে এমপি হাজী সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে। রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও পরদিন সোমবার (২৬ অক্টোবর) ভোরে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে ওইদিন দুপুরে পুরান ঢাকার দেবীদাস লেনে হাজী সেলিমের বাসা থেকে ইরফানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
ওইদিন বাসায় অভিযানও চালায় র্যাব। অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, অস্ত্রসহ একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাবের আদালত কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদকে কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠান। সোমবার রাতেই তাদের কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে ছয় মাস ও বিদেশি মাদক রাখার দায়ে ছয় মাস করে মোট এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয় ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে।
এদিকে ভ্রাম্যামাণ আদালতে সাজা হওয়ায় ইরফানকে কাউন্সিলরের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৪নভেম্বর , ২০২০)