দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: হ্যারিকেন ‘ইতা’র প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের পর ভূমিধসে গুয়াতেমালায় নিহতের সংখ্যা শতক পেরিয়েছে। নিহতের এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভূমিধসের পর এখনও অনেকের সন্ধান মিলছে না বলে জানিয়েছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

মঙ্গলবার প্রতিবেশী নিকারাগুয়া হয়ে সাগর থেকে স্থলে উঠে আসে ঝড় ‘ইতা’। চার মাত্রার হারিকেন হিসেবে ঘণ্টায় একটানা ২২৫ কিলোমিটার বাতাসের গতি নিয়ে আঘাত হানা ‘ইতা’পরে প্রতিবেশী হন্ডুরাসে গিয়ে দুর্বল হয়ে ক্রান্তীয় নিম্নচাপে পরিণত হয় এবং পরে আরও সরে গুয়াতেমালায় গিয়ে হাজির হয়।

পুরো মধ্য আমেরিকাজুড়ে এর তার তাণ্ডবে শতাধিক মানুষ মারা যায় বলে বিবিসিসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে।

মধ্য আমেরিকার এ দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেজান্দো জিয়ামাত্তেই জানিয়েছেন, ‘একটি শহরেই অর্ধেক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। পাহাড় ধসে ২০টি বাড়ি মাটি চাপা পড়লে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

খারাপ আবহাওয়ার পাশাপাশি বন্যায় উদ্ধার কাজে ব্যাহত হচ্ছে। অভিযান পরিচালনায় পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদির সঙ্কটের কথা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট বলেন, মাত্র একটি হেলিকপ্টার নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে।

বিবিসি জানাচ্ছে, ক্যাটাগরি ফোর হ্যারিকেন হিসেবে ইতা নামক এই ঘূর্ণিঝড়টি প্রথমে ২২৫ কিলোমিটার গতিতে নিকারাগুয়ার উপকূলে আঘাত হানে। এর প্রভাবে শুরু হয় মৌসুমী বৃষ্টি। এর পর শক্তি কমে প্রতিবেশী হন্ডুরাসে গিয়ে ঝড়টি ক্রান্তীয় নিম্নচাপে পরিণত হয়। পরে আবার শক্তি বাড়িয়ে আঘাত হানে গুয়াতেমালায়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৭নভেম্বর, ২০২০)