এরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী ৫ দিনের রিমান্ডে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: হাজী সেলিমের ছেলে এরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লার পৃথক দুই মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (০৮ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলাম আসামিদের অস্ত্র মামলায় তিন দিন এবং আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার মাদক মামলায় দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ২৯ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন দুই আসামিকে চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত ২ নভেম্বর শুনানির তারিখ ধার্য করেন। কিন্তু ওইদিন আসামিরা অন্য মামলায় রিমান্ডে থাকায় তাদের আদালতে হাজির করা হয়নি। এজন্য পরবর্তী শুনানির তারিখ ৮ নভেম্বর ধার্য করা হয়।
এদিন আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। প্রথমে আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আসামিদের পক্ষে শ্রী প্রাণনাথ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু এর বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। পথে এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে এরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে এরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন।
ওইদিনই পুরান ঢাকার বড় কাটরায় এরফানের বাবা হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে এরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেন। এরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের সাজা দেন।
এরপর ২৮ অক্টোবর র্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় এরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় দু'দফায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৮নভেম্বর, ২০২০)