করোনার রিপোর্ট দেখে চমকে গিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: মঙ্গলবার পাকিস্তানের বিমান ধরতেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, উদ্দেশ্য মুলতান সুলতানের হয়ে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) প্লে-অফ খেলা। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হয়ে সব পরিকল্পনা ওলট-পালট হয়ে গেলো, মাহমুদউল্লাহর ঠিকানা এখন চার দেয়ালে।
উত্তরায় নিজের বাসায় মাহমুদউল্লাহকে অন্তত এক সপ্তাহ থাকতে হবে আইসোলেশনে। তারপর দেবেন করোনা পরীক্ষা। রিপোর্ট নেগেটিভ এলেই ঘর থেকে বের হওয়ার অনুমতি মিলবে। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বলেন, ‘আপাতত আইসোলেশনেই থাকতে হবে। সামনের কয়েকটি দিন সতর্ক থাকা লাগবে। আমার সেভাবে কোনও উপসর্গ ছিল না, ঠাণ্ডা ছিল। এখন অবশ্য ভালো আছি। তবুও সতর্কতায় থাকতে হবে।’
মহামরির কারণেই মাহমুদউল্লাহর পিএসএলে খেলার দরজা খুলেছিল। গত মার্চেই শেষ হয়ে যেতো পিএসএল। কিন্তু করোনার প্রার্দুভাবে প্লে-অফ না খেলেই তা স্থগিত করে আয়োজকরা। ১৪ থেকে ১৭ নভেম্বর শেষ চার ম্যাচ হবে। মঈন আলীর পরিবর্তে মাহমুদউল্লাহকে দলে নেয় মুলতান। বিসিবি থেকেও অনাপত্তিপত্র পান তিনি। নিয়ম অনুযায়ী দেশের সীমান্ত অতিক্রমের আগে করান করোনা পরীক্ষা। সেখানেই মাহমুদউল্লাহ চমকে যান।
করোনা রিপোর্টে পজিটিভ দেখে বিস্মিত হন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার, ‘প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ৬ নভেম্বর করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলাম। প্রথম রিপোর্ট পেয়ে চমকে যাই, করোনা পজিটিভ আসে। তাই পরদিন আবার টেস্ট করাই। এবারও পজিটিভ। অথচ করোনার যেসব উপসর্গ, তা আমার মধ্যে নেই।’
দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের বাইরে মাহমুদউল্লাহরা। মার্চে প্রিমিয়ার লিগের পর অনুশীলনে ফিরলেও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছিলেন না। যদিও প্রেসিডেন্টস কাপ খেলেছিলেন, তা ছিল প্রস্তুতির অংশ। এজন্য প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট পিএসএল খেলতে মুখিয়ে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। সেই সুযোগটি হাতছাড়া হওয়ায় আফসোস হচ্ছে তার, ‘অনেক দিন ধরে টুর্নামেন্টের বাইরে। পিএসএল আমার জন্য দারুণ সুযোগ তৈরি করেছিল। বড় ক্রিকেটাররাও ছিল। ভালো একটি টুর্নামেন্ট হতো। যদিও সময় কম ছিল। তবুও সুযোগটি বড় ছিল। খানিকটা আফসোস তো হচ্ছেই।’
আফসোসের পাশাপাশি মাহমুদউল্লাহকে ভাবতে হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। মাহমুদউল্লাহকে ঘিরে কিছুটা হলেও রয়েছে অনিশ্চয়তা। তবে প্লেয়ার্স ড্রাফটে তার নাম থাকবে। দলগুলোও তাকে নিতে পারবে। তবে মাঠে ফিরতে হলে হতে হবে নেগেটিভ।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৮নভেম্বর, ২০২০)