করোনা রোধে ৯০% সক্ষম ফাইজারের টিকা!
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: মহামারি করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য টিকার অপেক্ষায় গোটা বিশ্ব। অনেক প্রতিষ্ঠানই টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছে। এর মধ্যে ফাইজার ও বায়োএনটেক নামের দুটি প্রতিষ্ঠান যৌথ উদ্যোগে টিকা তৈরির চেষ্টা করে আসছিল। এবার প্রতিষ্ঠান দুটি দাবি করেছে, তাদের তৈরি টিকা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। প্রতিষ্ঠান দুটি বলছে, এটি বিজ্ঞান ও মানবতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ছয়টি দেশের প্রায় ৪৩ হাজার ৫০০ মানুষের ওপর নতুন তৈরি এই টিকা প্রয়োগ করা হয়েছিল। টিকা নেয়ার পর কারও দেহেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি।
সংস্থা দুটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, টিকার দুটি ডোজ রয়েছে। প্রথম ডোজ দেয়ার ২৮ দিন পর এবং দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার সাত দিন পর রোগীরা করোনা প্রতিরোধে সক্ষম হচ্ছেন।
যৌথ বিবৃতিতে ফাইজারের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আলবার্ট বোর্লা জানিয়েছেন, টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার প্রাথমিক ফলে আমরা প্রমাণ পেয়েছি যে এটি কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করতে পারে। যাদের আগে কখনো করোনা সংক্রমণ হয়নি, এমন মানুষের ওপর চালানো এ পরীক্ষায় দেখা গেছে যে টিকা দেয়ার পর শরীরে করোনা ভাইরাস প্রবেশ করলেও তাদের কোভিড-১৯ হয়নি৷
জুলাইয়ের শেষ থেকে শুরু হওয়া তৃতীয় পর্যায়ের এই ট্রায়ালে ৪৩ হাজার ৫০০ জনেরও মানুষ অংশ নিয়েছেন৷ আগামী সপ্তাহেই মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এফডিএর অনুমতির জন্য আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি৷
ফাইজার ও বায়োএনটেক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকা সরবরাহে এরই মধ্যে ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থের চুক্তি সই করেছে৷ চুক্তি সই হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপানের সঙ্গেও৷ সময় বাঁচাতে এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে উৎপাদনও৷ ২০২০ সালেই প্রতিষ্ঠান দুটি পাঁচ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদন করতে চায়৷ এর ফলে অন্তত আড়াই কোটি মানুষকে টিকা দেয়া সম্ভব হবে৷ ২০২১ সালে আরও ১৩০ কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ফাইজার৷
করোনা থেকে সুরক্ষায় বিশ্বজুড়ে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান টিকা নিয়ে কাজ শুরু করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের এখন ১৫০টির বেশি টিকা উন্নয়নের পর্যায়ে রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৪৪টি টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। ১১টি টিকা পরীক্ষার চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চলমান থাকা এসব টিকার মধ্যে ফাইজার ও বায়োএনটেকের ক্ষেত্রেই প্রথম কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেল।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১০নভেম্বর, ২০২০)