শ্যামাপূজা ও দীপাবলী উৎসব আজ
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্যামাপূজা আজ। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামা পুজা বা কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালি নামের উৎপত্তি। কালী পূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুন্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ অনেক নামে পরিচিত।
হিন্দু পূরাণ মতে, কালী দেবী দুর্গারই একটি শক্তি। দুর্গাপূজার মতো কালীপূজাতেও গৃহে বা মন্ডপে মৃন্মময়ী প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করা হয। মধ্যরাতে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
তবে গৃহস্থ বাড়িতে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্যমতে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। এই কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে শ্মশানে মহাধুমধামসহ শ্মশানকালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আজ মঙ্গলময়ী, শক্তিরূপিণী শ্যামা মায়ের পূজার্চনা করবেন। একই সঙ্গে দীপাবলি উৎসবও আজ। ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বেলে আয়োজন করা হবে দীপাবলি উৎসবের।
দীপাবলী- আলোর উৎসব। অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির বিজয়ের প্রতীক শুভ দেওয়ালি বা দীপাবলী। অন্ধকারকে দূর করে শুভ ও কল্যাণের প্রতিষ্ঠায় এ উৎসব উদযাপন করা হয়।
প্রাচীন প্রথা অনুসারে দীপাবলির সন্ধ্যায় তেল দিয়ে সহস্র মাটির প্রদীপ জ্বালানো হয়। তবে বর্তমানে শহরাঞ্চলে অনেকে তেলের প্রদীপের পরিবর্তে মোমবাতি ব্যবহার করেন।
রাজধানীর রামকৃষ্ণ মঠের সহঅধ্যক্ষ ও মিশনের সহসম্পাদক হরিপ্রেমানন্দ মহারাজ বলেছেন, আজ রাত ৯টা ৩০ মিনিটে এখানে পূজা আরম্ভ হবে। রাত ৩টায় পুষ্পাঞ্জলি প্রদান এবং রাত ৪টায় হোম অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থবিধি মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ভক্তদের মধ্যে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করা হবে।
এছাড়াও ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রমনা মন্দির, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, সবুজবাগ থানাধীন শ্রী শ্রী বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, পুরান ঢাকার রাধাগোবিন্দ জিঁও ঠাকুর মন্দির, পোস্তগোলা মহাশ্মশান, তাঁতী বাজার, শাখারী বাজার, বাংলা বাজারসহ বিভিন্ন মন্ডপ ও মন্দিরে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্যামা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৪নভেম্বর, ২০২০)