মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের অপেক্ষায়
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: অবশেষে মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ১৬ই ডিসেম্বরের আগেই ১ লাখ ৮২ হাজার মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এদিকে, আগামী বছরের মার্চ মাসের আগে রাজাকারদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের জন্যও কাজ চলছে বলে জানান মন্ত্রী।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে জীবনের ঝুঁকি জেনেও দেশ স্বাধীন করতে পাকিস্তানীদের বিপক্ষে যারা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা এখনো হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ভারতের দেয়া তালিকা এবং সরকারের লাল মুক্তিবার্তার মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্বীকৃতি পান। তবে, অনেকেই বাদ পড়েন। ২০০১ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত হওয়ার পর সারাদেশে শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরীর কাজ।
মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ি ২ লাখ ৩ হাজার মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। তবে, অনেকের নামে অভিযোগ আসায় যাচাইবাছাই শেষে এক লাখ ৮২ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা করেছে মন্ত্রণালয়। যা আসছে ১৬ ডিসেম্বরের আগেই প্রকাশ করা হবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জানালেন, তালিকায় আরও ১০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম পরবর্তীতে যুক্ত হতে পারে। সেই কাজও চলছে।
এদিকে, ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর সরকার প্রথমবারের মতো রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করেছিলো। সেই তালিকায় অনেক মুক্তিযোদ্ধার নাম যুক্ত হওয়ায় সমালোচনার মুখে তা বাতিল করা হয়। সংশোধন শেষে তা আবার প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য আইনী কাঠামো তৈরির কাজও চলছে। আর, আগামী বছরের মার্চের আগেই পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা হবে।
আগের তালিকার মতো এবার যাতে রাজাকারদের তালিকায় ভুল না থাকে সেটা যাচাইবাছাইয়ের জন্য স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৭নভেম্বর, ২০২০)