আমেরিকায় টয়লেট পেপার নিয়ে টানাটানি
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে। একই সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। এ কারণে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে নতুন করে কারফিউ ও লকডাউন জারি করছে কর্তৃপক্ষ। আর করোনার এ দ্বিতীয় ঢেউ আসার খবরে যুক্তরাষ্ট্রে টয়লেট পেপারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে টয়লেট পেপার ও পরিষ্কার সামগ্রী কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন জনগণ।
গত ১৯ নভেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর সেখানে কারফিউ জারি করেন। এরপরই সেখানে টয়লেট পেপার কেনার হিড়িক শুরু হয়। ফ্রেসনো, কস্টকো, ওয়ালমার্ট ও বিজেএস স্টোরে টয়লেট পেপার প্রায় শেষ হয়ে গেছে।
এদিকে শুক্রবার বিকালে দেশটির ২২টি অঙ্গরাজ্যে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সংক্রমণ রোধ করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এ কারণে বিভিন্ন শপ ও দোকান থেকে লোকজন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে জমা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু শহরের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ওয়ালমার্ট, কস্টকো কস্ট ও বিভিন্ন ধরনের জীবাণুনাশকের ওপর মূল্যছাড় দিয়েছে।
অ্যারিজোনার টুকসনের ৩১ বছর বয়সী হুইটলি হ্যাচার নামের এক কর্মকর্তা বলেন, ওয়ালমার্টে লাইজল জীবাণুনাশক ও টয়লেট পেপার আবারও শেষ হয়ে গেছে। বড় বড় স্টোরগুলোতে লোকজন জিনিসপত্রের খালি শেলফ দেখে আতঙ্কিত হচ্ছেন। এ কারণে তারা আরও বেশি করে জিনিসপত্র কিনছেন।
উল্লেখ্য, একদিন আগে রেকর্ড সংক্রমণের পর আজও প্রায় পৌনে দুই লাখ মার্কিনির করোনা শুনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা সোয়া ১ কোটির দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। নতুন করে প্রায় দেড় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেখানে। তবে বরাবরের মতো পিছিয়ে সুস্থতার হার।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার নিয়মিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ৭২ হাজার ৮৩৯ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার ৬৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৪৬০ জন। এ নিয়ে প্রাণহানি বেড়ে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৯০ জনে ঠেকেছে।
অপরদিকে, সংক্রমণের তুলনায় কম হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন প্রায় ৮৭ হাজার ভুক্তভোগী। এতে করে সুস্থতার সংখ্যা ৭৪ লাখ ৩ হাজার ৮৪৭ জনে পৌঁছেছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২২নভেম্বর, ২০২০)