কারাগারে বিয়ের পর জামিন পেলেন ধর্ষণ মামলার আসামি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ফেনীতে কারাগারে বিয়ে করা ধর্ষণ মামলার আসামি জহিরুল ইসলাম জিয়াকে ১ বছরের জন্য জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (৩০ নভেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী।
গত ১৯ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফেনী জেলা কারাগারে দুই পক্ষের পরিবারের ২০ থেকে ৩০ সদস্যের উপস্থিতিতে ৬ লাখ টাকা দেনমোহরে ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী কাজী আবদুর রহিম জিয়া ও ধর্ষণের শিকার তরুণীর বিয়ে পড়ান।
জানা যায়, সোনাগাজী উপজেলার উত্তর চরদরবেশ গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সুফিয়ানের ছেলে জহিরুল ইসলাম জিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী এক মেয়ের গভীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে উভয়ের সম্মতিতে তাদের শারীরিক সম্পর্কও হয়।
এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে দুই পরিবার তাদের বিয়ে দেয়ার আলাপের উদ্যোগ নিচ্ছিল। কিন্তু উদ্যোগ সফল না হলে গত ২৭মে মেয়ের পরিবার থানায় জিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। সে মামলায় পুলিশ জিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সবশেষ জিয়া হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। গত ১ নভেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ আদেশ দেন, জিয়া ওই মেয়েকে বিয়ে করলে জামিনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। আদালত আদেশে উল্লেখ করেন, উভয়পক্ষ সম্মত থাকলে ফেনী জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ আদেশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করবে।
ফেনী জেলা কারাগারের জেল সুপার আনোয়ারুল করিম জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনা পেয়ে দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনাক্রমে তাদের বিয়ের তারিখ ধার্য করা হয়েছিল। সে মোতাবেক ১৯ নভেম্বর কনেসহ দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ে পড়ানো হয়েছে।
এরপর রোববার বিয়ের বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী। আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য সোমবার দিন ধার্য করেন।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/৩০নভেম্বর, ২০২০)