দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলার একাডেমি মাঠে ব্যক্তিগত অনুশীলন করেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরার অপেক্ষায় থাকা মাশরাফি আজ প্রথম অনুশীলন করলেন।

দুপুর ১২টার পর বিসিবির ট্রেণার তুষার কান্তি হাওয়লারকে নিয়ে ট্রেনিং শুরু করেন তিনি। একাডেমির সেন্টার উইকেটে ২০-২৫ মিনিটের মতো হাল্কা রান আপে বোলিং করেছেন। এছাড়া কিছু ফিটনেস ট্রেনিং নিয়ে করেছেন।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ‘বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ স্পন্সরড বাই ওয়ালটন’ –এ খেলার কথা ছিল মাশরাফির। কিন্তু চোটের কারণে প্লেয়ার্স ড্রাফটে ছিল না তার নাম। অবশ্য এখনও তার খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। পাঁচ দলের কেউ তাকে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করলে নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকে নিতে পারবে। তবে একাধিক দল আগ্রহ দেখালে সেক্ষেত্রে লটারী করা হবে। তবে গুঞ্জন রয়েছে, গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম মুমিনুল হকের রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে মাশরাফিকে দলে টানতে চাইছে। সেক্ষত্রে পূর্ণ ফিটনেস নিয়েই মাশরাফিকে প্রস্তুত হতে হবে।

বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী রাইজিং বিডিকে মুঠোফোনে জানিয়ছেন, কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের কাছে একক অনুশীলনের অনুমতি চান মাশরাফি। বিসিবির অনুমতি পাওয়ার পর সামাজিক দূরত্ব মেনে আজ থেকে শুরু হয়েছে ট্রেনিং।

ব্যক্তিগত ফিটনেস ট্রেনিংয়ের সময় চোট পান জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। গত ১৮ অক্টোবর মিরপুরের সিটি ক্লাব মাঠে রানিংয়ের সময় পায়ে মাশরাফি আঘাত পান। বিসিবির ডাক্তার ও ফিজিওদের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্ক্যান করানোর পরামর্শ পান মাশরাফি। কিন্তু মেয়ে হুমায়রা মুর্তজা ও ছেলে সাহেল মুর্তজা কোভিড পজিটিভ হওয়ায় তাৎক্ষণিক স্ক্যান করাতে পারেননি।

করোনায় লকডাউনের আগে গত মার্চে জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান মাশরাফি। অধিনায়কত্ব ছাড়লেও ওয়ানডে খেলে যাবেন তিনি। ৫০ ওভারের ঘরোয়া সংস্করণ ঢাকা লিগও খেলার কথা ছিল তার। কিন্তু করোনার কারণে মাঠে ফেরা হয়নি। গত জুলাই থেকে মিরপুর স্টেডিয়ামে অনুশীলন করছেন ক্রিকেটাররা। সেখানে ছিলেন না রঙিন পোশাকে বাংলাদেশের দিন বদলের নেতা। প্রাণঘাতী করোনায় ভুগেছেন লম্বা সময়। প্রায় দেড় মাস লড়াইয়ের পর সেরে ওঠেন তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০১ডিসেম্বর, ২০২০)