বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে শুরু হয়েছে দখলদারিত্ব। সড়ক ও জনপথ বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তাকে ‘ম্যানেজ’ করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ দখলদারিত্ব চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, আইনানুযায়ী মহাসড়কের দুই পাশের প্রায় ২০ ফুট জায়গার মালিক সড়ক ও জনপথ বিভাগ। কিন্তু আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মহাসড়কের প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকা ইতোমধ্যে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান দখল উৎসবে মেতে উঠেছে। ফোর লেনের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এ দখলদারিত্ব আরো ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, দারগাহাট, সীতাকুণ্ড, কুমিরা, কদমরসুল, বারো আউলিয়া, ভাটিয়ারী ও সিটি গেট এলাকায় রাস্তার দুই পাশে গড়ে উঠা প্রায় ২০০ ছোট-বড় কারখানা দখল করছে এ সব জায়গা। এতে করে বন্ধ হয়ে পড়ছে পানি নিষ্কাশনের পথ। ফলে জনসাধারণের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে আবুল খায়ের স্টিল মিলের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে কদমরসুল গ্রামবাসীর।

বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের মগপুকুর এলাকার সেকান্দর কোং, রমজান আলী ও সুকুমার পালিত জানান, বর্ষার সময় পাহাড়ি ঢলের কারণে মাসের পর মাস ডুবে থাকে চাষের জমি ও ঘরবাড়ি। প্রিন্স টাওয়াল ও অটোমেশন কারখানা প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ অবস্থা আরো চরম আকার ধারণ করে।

উপজেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকেীশলী মো. শাহাজাহান জানান, দখলদাররা খুবই শক্তিশালী। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো সামর্থ্য তাদের নেই। তবে পানি নিষ্কাশনের জায়গায় ভরাট না করতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন ইমরান জানান, প্রতিটি এলাকার জলাবদ্ধতার বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক বরাবর পত্র পাঠানো হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/কেএইচসি/এসবি/এজেড/মার্চ ১৯, ২০১৪)