সংরক্ষিত এলাকায় ইটভাটা স্থাপনে জেল-জরিমানা
দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : সংরক্ষিত এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করলে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ টাকা অর্ধদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) বিল-২০১৩’ পাস হয়েছে।
নতুন এই আইনে ইট ভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জাতীয় সংসদে রবিবার বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বিলের ওপর বিরোধীদলীয় সদস্যরা জনমত যাচাই ও সংশোধনী প্রস্তাব জমা দিলেও অনুপস্থিতির কারণে তা উত্থাপিত হয়নি। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
গত ২৭ অক্টোবর সংসদে বিলটি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, আবাসিক, সংরক্ষিত বা বাণিজ্যিক এলাকা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর, সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান বা জলাভূমি, কৃষি প্রধান এলাকা এবং প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। কৃষি জমি, পাহাড় বা টিলা থেকে ইট তৈরির জন্য মাটি কাটলে অথবা অনুমোদন ছাড়া নদ-নদী বা হাওর, চরাঞ্চল থেকে মাটি কাটলে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আর অনুমোদন না নিয়ে ইটভাটা খুললে এক বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া বিদ্যমান আইনে পার্বত্য এলাকা অন্তর্ভুক্ত না থাকলেও নতুন আইনে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সনাতন পদ্ধতির ইটভাটার মাধ্যমে অতিমাত্রায় পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে। বিদ্যমান আইনে এসব বিষয় মোকাবিলার জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনা না থাকায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। তাই পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করে ইট প্রস্তুত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান আইনটিকে আরও গতিশীল ও প্রয়োগিক করতে এ বিল আনা হয়েছে।
(দিরিপোর্ট২৪/আরএইচ/আরএইচ/এনডিএস/নভেম্বর ১০,২০১৩)