সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ঝাপসা হয়ে যায়। গাড়ি চালকরা পড়ে যান ধন্দে। এ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। দুর্ঘটনা এড়াতে সোমবার মধ্যরাত থেকে কখনও যান চলাচল বন্ধ করে দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ, আবার কিছু সময়ের জন্য তা চালু করা হচ্ছে। এ কারণে সেতুর পশ্চিম মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্র জানায়, ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা ঝাপসা হয়ে পড়ায় সোমবার রাত ১টা ৫৫ মিনিটে সেতুর ওপর দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।

সেতু সংলগ্ন এলাকায় সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশার তীব্রতা বাড়তে থাকে। পরে রাত ২টার দিকে সেতুর ওপর দিয়ে সব রকম যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এরপর ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে কিছু সময়ের জন্য মাত্র একটি করে গাড়ি পার করলেও আধ ঘণ্টা পর আবারও যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এভাবে থেমে থেমে অল্প সময়ের জন্য সেতু চালু রাখা হয়। ফলে সেতুর পশ্চিম পারে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শত শত গাড়ি দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, কুয়াশার রিক্টার স্কেল ৪০ শতাংশের নিচে নেমে আসার কারণে রাত ১টা ৫৫ মিনিটে সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর মাঝে মধ্যে অল্প সময়ের জন্য গাড়ি চলাচল চালু থাকলেও বেশিরভাগ সময়ই বন্ধ রয়েছে। এতে সেতুর পশ্চিম পারে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে রয়েছে। ফলে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী লেনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু সেতুর ট্রাফিক কন্ট্রোলার হালিমুজ্জামান বলেন, কুয়াশার রিকটার স্কেল ৪০ শতাংশে নেমে আসায় বেশিরভাগ সময় যান চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে। কুয়াশা কিছুটা কমলে উভয় পারে অন্তত একটি করে গাড়ি ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। এখনও কুয়াশা রয়েছে। ফলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি।

এদিকে সেতুতে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় পশ্চিম পারের সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি দেখা যাচ্ছে। যা ক্রমাগত আরও দীর্ঘ হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নারী-শিশুসহ যাত্রীরা।

সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, কুয়াশা না কমলে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে না। দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা ছাড়া উপায় নেই।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৫ডিসেম্বর, ২০২০)