ধর্ষণ করলে রাসায়নিক প্রয়োগে খোজা করবে পাকিস্তান
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: রাসায়নিক প্রয়োগে খোজাকরণের শাস্তি রেখে আইন পাস করেছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) দেশটির প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি দ্রুত বিচারের জন্য ধর্ষণবিরোধী অধ্যাদেশ ২০২০-এর অনুমোদন দেন।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, নারী বা শিশুকে ধর্ষণের অপরাধ প্রমাণিত হলেই অভিযুক্তকে এ শাস্তি দেয়া হবে।
প্রেসিডেন্ট ভবনের বিবৃতির বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, যৌন নির্যাতনে শিকার নারীদের দ্রুত বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত জন্য সারা দেশে বিশেষ আদালত গঠন করা হবে। এসব আদালত চার মাসের মধ্যে বিচার কাজ শেষ করবে।
এই আইনের অধীনে প্রধানমন্ত্রী ধর্ষণবিরোধী একটি সেল গঠন করবেন। যারা ছয় ঘণ্টার মধ্যে ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করবেন।
এই অধ্যাদেশের আওতায় ভিকটিমের পরিচয় প্রকাশকেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে দেখা হয়েছে। আর পুলিশ কিংবা সরকারি কর্মকর্তারা মামলার তদন্তে অবহেলা করলে তাদের তিন বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা বা পুলিশ মিথ্যা তথ্য দিলেও একই শাস্তির আওতায় আনা হবে।
এর আগে গত নভেম্বরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে কেবিনেট বৈঠকে ধর্ষণবিরোধী অধ্যাদেশ ২০২০ অনুমোদন দেওয়া হয়।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৫ডিসেম্বর, ২০২০)