দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আবারো আলোচনায় মাশরাফী। ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিককে আর পারফরমার হিসেবে খোঁজে না বিসিবি। তাই নিয়মিত বাইরে থাকছেন টাইগার স্কোয়াড পরিকল্পনারও। আসন্ন হোম সিরিজেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। তবে মাশরাফী চাইলে পেতে পারেন সুযোগ আর তা শুধুই ক্রিকেটকে গুডবাই জানাতে।

ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বিকেলে আবারও স্বরূপে হাজির মাশরাফী। বঙ্গন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ৪ খেলায় শিকার ৭ উইকেট, যার ৫টা আবার একই ম্যাচে। বিপিএলে ৬ আসরে খেলে ক্যাপ্টেন হিসেবেই জিতেছেন ৪ ট্রফি। ঝুলিতে ভরেছেন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টির প্রথম ট্রফিটাও। ম্যাশের দেয়ার আছে অনেক কিছু, চারদিকে এই গুঞ্জন উঠলেও বাস্তবতা ভিন্ন।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মাশরাফীর ফেরা নিয়েই এখন যত জল্পনা, হিসাব বলে সামনে কঠিন সমীকরন। প্রথমত আটত্রিশে পা দেয়া ম্যাশ কি ফিটনেসের মাপকাঠিতে টিকবেন দলে? উত্তরটা যদি হ্যা হয়, তাহলে প্রশ্ন শহিদুল, মুগ্ধ, হাসান মাহমুদদের মত তরুণদের উপেক্ষা করে মাশরাফীকে দলে টানা হবে কতটা যুক্তিযুক্ত? বিসিবি তো জানিয়েই দিয়েছে এখন থেকেই ভাবনা ২০২৩ বিশ্বকাপ।

বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, মাশরাফী কি ছিল বা এমপি হয়েছে এগুলা কিছু না। সে যেহেতু এখনো ক্রিকেট খেলছে আমাদের কাছে সে একজন খেলোয়াড়। তার পারফর্মেন্স এবং যোগ্যতা যদি থাকে তাহলে সে অবশ্যই দলে জায়গা পাবে।

অবসর বিষয়ে আগেই স্পষ্ট করেছেন মাশরাফী। ফিটনেস ঠিক রেখে চালিয়ে যাব্নে খেলা। জাতীয় দলের ভবিষ্যত কি ম্যাশের! পরিস্কার হয়ে যাবে সামনের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেই। সেখানেও থাকার সম্ভাবনা কম। কোচিং স্টাফের ভবিষৎ পরিকল্পনাতে নেই দেশসেরা ক্যাপ্টেন। অবসর না নেয়ার ম্যাশের ফাইলটাও ক্লোজ করতে পারছে না বোর্ড।

বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ওর যদি পারফর্ম থাকে তাহলে সে আবার খেলবে। আর সে দলে থাকবে কি থাকবে না সেটা নির্বাচকরা ঠিক করবে। আর সে কবে অবসরে যাবে সেটা সেই ঠিক করবে এটা নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই।

সামনের বিশ্বকাপ নিয়ে এখন থেকেই পরিকল্পনা শুরু করেছে বোর্ড। সেটা অজানা নয় মাশরাফীরও। নতুনদের নিয়ে পেস বোলিং ইউনিটের কাজ শুরু হয়ে গেছে। সেখানটায় নড়াইল এক্সপ্রেসের নাম না থাকলে দোষের কিছু নেই। কারণ কিংবদন্তিদেরও যে একটা সময় সড়ে দাড়াতে হয়, ছাড়তে হয় বাইশ গজ।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২২ ডিসেম্বর, ২০২০)