দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:  তিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হতে যাচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) এক যৌথ সভায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েট। তবে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থাকবে কিনা তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা জানান, এই আয়োজনে সম-অংশীদারত্ব নিশ্চিতে বুয়েটের দরজা সবসময় খোলা থাকবে। অর্থাৎ চার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় মিলে সম-অংশীদারত্বের ভিত্তিতে পরীক্ষা আয়োজন করতে আগ্রহী চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েট কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাজধানীতে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে চুয়েট, রুয়েট ও কুয়েট এবার গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় সম্মতি জানিয়েছে। পরীক্ষা কমিটির সভাপতি কে হবেন, পরীক্ষার মানবণ্টন করণীয় ঠিক করতে একটি নীতিমালা তৈরির বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এছাড়া পরীক্ষার জন্য একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হবে, সেখানে ইউজিসি থেকেও প্রতিনিধি থাকবে— এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

পরীক্ষার ধরন ও মানবণ্টন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে আগে যেভাবে হতো সেটাই থাকবে। অর্থাৎ পরীক্ষা হবে লিখিত। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষার কেন্দ্র হবে। যেমন— রাজশাহীর পরীক্ষার্থীদের জন্য কেন্দ্র হবে রুয়েট ক্যাম্পাসে।

জানতে চাইলে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, বুয়েট একক নেতৃত্ব এবং একক কর্তৃত্ব পালন করতে চায়। তাদের ক্যাম্পাসে পরীক্ষা আয়োজন করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর একটি নির্দেশনা ছিল- শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে, যে যার জায়গাতে পরীক্ষা দেবে। সকল নেতৃত্ব তারা দিতে চায়। এ বিষয়গুলো নিয়ে তাদের কিছুটা আপত্তি রয়েছে বলে জানান তিনি।

বৈঠকে পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, আজকের সভায় সকলের মতামতের ভিত্তিতে একটি নীতিমালা তৈরির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নীতিমালার মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল বিষয় উল্লেখ করা হবে। তবে পরীক্ষার ধরন (লিখিত) আগের মতোই থাকবে। আর পরীক্ষার কেন্দ্র তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে। বুয়েট যুক্ত হলে সেই সংখ্যা বেড়ে চারটি হবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৩ ডিসেম্বর, ২০২০)